1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

“বিশ্ব কবি আছেন, স্বদেশে বিদেশে স্ব-মহিমায়: কস্কো- এর সুভাষ ও আছেঃ নাইনও ক্লক ও আছে সৌরভে-গৌরবেঃ শুধু আপনি নেই ছোট চাচা। কিতাব প্রেমি একজন সিরাজুল হক কুতুব এর কথা: স্মৃতিকথা: স্মরন: মাগফিরাত । মুজিবুর রহমান মুজিব।

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫৯৭ বার পঠিত

ষাটের দশকের শুরুতে মরমি কবি হাছান রাজার স্মৃতি বিজড়িত সুনাম বাহীসুনাম গঞ্জের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি-বাম প্রগতিশীল গনতান্ত্রীক আন্দোলনের বলিষ্ট ও বিশ্বস্থ নাম সিরাজুল হক কুতুব। সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয় এর বৃত্তি ধারি অসম্ভব রকমেরমেধাবীত্ত কৃতি ছাত্র কুতুব দৃশ্যতও একজন দর্শনীয় যুবক। স্বপ্নের নায়ক এর মত উজ্জল ফর্সা চেহারার, ছয়ত্রিশ ইঞ্চি বুকের ছাতি সম্বলিত ছয়ফুটাধিক লম্বা কুতুব একজন সৌখিন ব্যামবিদও। ছাদ ফাটা অট্র হাসির বন্ধু বৎসল বিনয়ী কুতুব ছিলেন সকলের প্রিয় জন। আপনজন। কুতুব ভাই। পিতা মাতার কনিষ্ট সন্তান হওয়াতে সকলের মায়ায় মমতায় বেড়ে উঠেন তিনি। দুই বড় বোন রহিমা বেগম, ছালেহা বেগম এবংদুই বড় ভাই নূরুলহক আম্বিয়া ও ফজলুলহক আস্পিয়া। পিতা আদিতে মৌলভীবাজার সদর থানাধীন রসুলপুর গ্রাম নিবাসী মোহাম্মদ আনোয়ার ১৯২০ সালে কৃতিত্বের সাথে এনট্রান্স পাশ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। তখন এখানে কলেজ ছিল না, উচ্চ শিক্ষার পরিবেশও সুযোগ নেই। ভালো ফলাফল এবং আকর্ষনীয় ফিগার-ব্যবহার ও আচার আচরনের কারনে কোন তদবির ও উৎকোচ ছাড়াই আসাম সরকারের অধীনে জুডিশিয়্যাল সার্ভিসে চাকরি হয়ে যায় তাঁর। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বালিকান্দির অপরূপা সুন্দরী সৈয়দ জাদি সৈয়দা সামসুন্নাহার খাতুনের সাথে। সরকারি বদলির চাকরি হলেও সিলেট হয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপরূপ লীলাভূমি সুনামগঞ্জ এসে ঘর বসত স্থাপন করেন আদর্শ গৃহি মোহাম্মদ আনোয়ার। বৃটিশ ভারতে সুনামগঞ্জে ভূমির আধিক্য এবং লোক বসতি কম ছিল। ফলতঃ স্বল্প মূল্যে ষোল্লঘরে বিশাল বাসা বাড়ির মালিক হন তিনি। এখান কার মাটিও মানুষের মায়ায় পদন্নোতি-পদায়নের দিকে না তাকিয়ে এখান থেকেই আবসর নেন-এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতঃ এখানেই তার প্রিয় বাসাবাড়িতে সমাহিত হন।বিশাল এই বাসা বাড়িটি শতকি নয়, কিয়ারি কতেককেদারি। বড় পুকুর। মিনি ফসলের মাঠ। গাছ-বৃক্ষের বিচিত্র সমাহার। সামনেই গৌরিপুরের কাছারি, পাশেই সুরমা নদী। গ্রাম আর শহরের অপূর্ব সমাহার এই ষোল্লঘর- এই সুনামগঞ্জ শহর। ১৯৬২ সালের মেট্রিক কেন্ডিডেইট ছিলাম- সদর থানাধীন জগৎসী জি.কে. হাই স্কুলের ছাত্র ছিলাম। লেখা পড়ার চাইতে মিটিং-মিছিল-খেলা ধুলা গান বাজনার প্রতি উৎসাহী ছিলাম। ষাটের দশকের শুরুতে পাকফোজি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আয়ূব খান বিরোধী ছত্র-গন আন্দোলন দানাবেধে উঠতে থাকে। তখন পাকস্বৈর শাসকদের গন বিরোধী আইন ও বিধিনিষেধের কারনে রাজনৈতিক দলগুলিকে বিকষিত হতে দেয়া হয়নি ফলতঃ ছাত্র সমাজকেই আন্দোলনে সংগ্রামে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হত। তখন কুখ্যাত হামদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিলের আন্দোলনে পুলিশের গুলিবর্ষন এবং ছাত্র মৃত্যোতে সমগ্র পূর্ব বাংলায় ছাত্র আন্দোলন দুর্বার আকার ধারন করে। “ছাত্র হত্যার বিচার চাই” শ্লোগান শুনে সেই যে মিছিলে শরীক হয়ে ছিলাম এই পড়ন্ত বেলায় শেষ বিকেলে এখনও আবেগ আপ্লুত হই। প্রবাসী পিতা মাতার আদরের প্রথম পুত্র হিসাবে স্বাদে আল্লাদে বেড়ে উঠেছি, হয়ত লাইও পেয়েছিলাম অধিক। পিতা মাতার একান্ত ইচ্ছা ছিল দেশের সর্বোচ্ছ ডিগ্রীনেয়া লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হওয়া। প্রিয় পুত্রের স্কুল ত্যাগে স্বাভাবিক ভাবে চিন্তিত হলেন দায়িত্ব বান পিতা-মাতা। তখন সুনামগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ছিলনা, আসা যাওয়ার প্রথাও প্রচলিত ছিল না। শিক্ষানু রাগি মোঃ আনোয়ার তার পুত্রদের মত তার ভ্রাত স্পুত্র গনকে ও সুনামগঞ্জ বাসায় নিয়ে রেখে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলে ছিলেন। তার ভ্রাতা স্পুত্র এমত্র, মুনির বাংলাদেশ বিমানের উচ্চপদে আসীন হয়ে অবসর গ্রহন করেন, এমত্র, মতিন পিএসসি, বি.পি. একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদ থেকে অবসর গ্রহন করেছিলেন। সফল পিতা শিক্ষানুরাগি মোহাম্মদ আনোয়ার আমার পিতার মামা, আমার প্রিয়ও শ্রদ্দেয় দাদা। তারা মামা-ভাগ্না-আম্বিয়া আস্পিয়া- ভাইয়ে ভাইয়ে আলোচনা ক্রমে আমাকে সুনাম গঞ্জে পঠিয়ে দেয়া হল, ভালো ফলাফলের জন্য দু’ ক্লাশ পিছিয়ে সুনাগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়া হয়। সহ পাঠি হিসাবে পেলাম দেওয়ান ছাবেরীন, আবুআলী সাজ্জাদ হোসাইন, স্বপন কুমার দেব, মকবুল হোসেন, আব্দুল মতিন, শাহজাহান মঞ্জুর চৌধুরী, মোহতাদিম আলী চৈ, প্রমুখকে। লেখা লেখির কারনে এখনও বন্ধুবর আবু আলীও স্বপন কুমার এর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ও সু-সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। এখানে এসে সিরাজুল হক কুতুব চাচাকে পাই ফ্রেন্ড-গাইড-ফিলো সফার এর মত। সমবয়সী। লেখা পড়াও চিন্তায় চেতনায় কাছাকাছি। তার সঙ্গে আমার খুব ভাব হয়, জমে যায়। আমি তার একনিষ্ট ভক্ত ও অনুরাগি হয়ে যাই। আজীবন সেসম্পর্ক বহাল ছিল। বাল্য কাল থেকেই দিল খুলা, সহজ সরল সাদা মনের মানুষ মহৎ মানুষ, সৎ মানুষ ছিলেন সিরাজুল হক কুতুব। রাজনীতিগত ভাবে তিনি অত্যান্ত গনমুখী বাম ভাবাদর্শের অনুসারি, মজলুম জননেতা মৌলানা ভাষানীর অনুসারি ছিলেন। নির্মোহ নির্লোভ ছিলেন। সেসময় তাকে ছায়ার মত অনুসরন করেছি, সম্পর্কে আমি তার ভাতিজা হলেও সুহৃদ ও বন্ধুর মত সদাচরন করেছেন ভালোবাসা দিয়েছেন-স্নেহ-মমতা দেখিয়েছেন। কাছে থেকেদেখেছি, তার, গান, বাগান এবং কস্কো সাবানের প্রতি দূর্বলতাও ভালোবাসা ছিল। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার প্রিয় কবি ছিলেন। রবীন্দ্র সঙ্গীতএর মধ্যে- যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব নামোর খেয়া তরী এই ঘাটে খুবই প্রিয় ছিল। একটু মুডে থাকলেইমনের সুখে দরাজ গলায় গেয়ে উঠতেন এই গানটি। এই-ক-বছরের ব্যবধানে তিনি এখন কবর বাসি। তিনি চীরতরে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এই পৃথিবীতে আর কোনদিন তাঁর পদ চিহ্ন পড়বে না। কবিতা আবৃত্তিও করতেন তিনি দরাজ গলায়। তার গানের সঙ্গে তার বাগান চর্চা-পুস্প বিকাশের ও শখছিল। ষোল্লঘরের বাসায় তার বৃহদাকৃতির বাগানে নাইন ও ক্লক ফুল তার খুবই প্রিয় ছিল। গোলাপি রং এর মিনি গোলাপ গুলি সকাল ন-টায় ফুটে বলে নাম নাইন ও ক্লক। অনেকটা বিদেশি ফুল ডেফ ডিল্স এর মত। ফুল গুলিতে সুভাষ-সুগন্ধ- কম থাকলেও সৌরভ আছে- একটি রাজকীয় ভাব আছে। অর্ধ শতাধিক বৎসর পূর্বে সেই যে মিনি গোলাপের প্রেমে পড়ে ছিলাম এই পড়ন্ত বেলায় বেলাশেষে সেই প্রেম শেষ হয়ে যায়নি। নার্সারিতে গেলেই ফুল গুলিকে খুজি আর পুস্প ও কিতাব প্রেমিক কুতুব চাচার কথা স্মরন করি। সেদিন গ্রীন নার্সারিতে গেলে পেয়ে গেলাম আমার এবং আমার প্রিয় ছোট চাচার প্রিয় ফুল নাইনও ক্লক এরচারা। এক জোড়া চারা বাসায় নিয়ে এসে টবে লাগিয়েছি। সকাল সন্ধ্যা পানি দেই, আর ছোট চাচার কথা স্মরন করি। তার রুহের মাগফিরাত কমনা করি। চাচাদের বাসার পাশেই সুরমা নদী। বলাচলে সুরমা নদীর তীরেই সুনাগঞ্জ শহরের অবস্থান। এই নদীকে নিয়ে মরমিয়া হাছান রাজার অনেক স্মৃতি কত গান আছে। ভোঁ-ভো লঞ্চের আওয়াজ- নৌকা বৈটার ছলাত-ছলাত শব্দ বেশ উপভোগ্য। বাসায় পুকুর থাকলেও আমরা পুরুষ সদস্য গন সুরমা নদীতে গোসল করতাম আর মনের সুখে সাতার কাটতাম। নদীতীরে কোন শান বাধানোঘাট ছিলনা, পাথরে বসেই পাড়া প্রতি বেশি হিন্দু- মুসলিম ধর্মাবলীগন স্নানও গোসল করতাম। ছোট চাচার প্রিয় সাবান ছিল কস্কো। কমান্ডার সোপ কোম্পানীর কসকো। ডিম্বাকৃতির গোলাপি রং এর এই সাবানেযেমন ছিল ফেনা তেমনি ছিল সুভাষ-সুগন্ধ।ছোট চাচা এমনি তেই ছিলেন সাফ গুরিয়ানা। উজ্জল ফর্সা রং এর সু-পুরুষ। তার ‘ইমেক্স ক্রীম’ জাতীয় কোন সাবানের প্রিয়োজন ছিল না শুধুমাত্র সুভাষ-সুগন্ধ ও সখের কারনে তিনি কসকো সাবান ব্যবহার করতেন, আমি তার সম্মান ও স্মরনে এখনও কসকো সাবান ব্যবহার করি কিন্তু সেই সুভাষ ও নেই, ফেনা ও নেই। ক্রীড়াঙ্গনে সিরাজুল হক কুতুব এর প্রিয় খেলা ছিল ক্রিকেট, যদিও তার জ্যেষ্ট ভ্রাতা নূরুল হক আম্বিয়া পঞ্চাশের দশকের শেষে ভাগে ঢাকা মোহামেডান এবং অতঃপর পাকিস্তান জাতীয় দলের গোল কিপার ছিলেন। বিগত করনা কালে পারিবারিক প্রয়োজনে আমেরিকা গেলে সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন- সমাহিত হন। ১৯৬৩ সালে ভালো ফল নিয়ে সিরাজুল হক কুতুব এস.এস.সি পাশকরে সিলেট এম.সি কলেজে ভর্তি হন। আমি ৬৪ সালে এস.এস.সি পাশ করে এম.সি কলেজে ভর্তি হই। এতদিন খাচায় বন্দী ছিলাম- সিলেটে এসে কলেজ ষ্টুডেন্ট হয়েই খাচার পাখী থেকে বনের পাখি বনে গেলাম। অতঃপর অনেক ঘটনা দূর্ঘটনা, তিনি মাষ্টার্স ডিগ্রী নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, আমি একই উদ্দেশ্যে পরে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। প্রথমত হলে সিট না পেয়ে তার আবসস্থল তৎকালীন জিন্নাহলে তার কক্ষে উঠি। ফ্লোরিং করতে হয় নি তিনি তার সিটটি আমাকে দিয়ে রাত্রে অন্যত্র থাকতেন। এখান থেকে তিনি রাজনীতি গত ভাবে ব্যস্থ হয়ে উঠেন। পার্শবর্ত্তী মহসিন হলে আমার সিট হলে আমি ৫২৯ নম্বর রুমে চলে আসি। তার সঙ্গে আমার দেখা সাক্ষাতকমহত যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুহলে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাষ্টার্স ফাইন্যাল এর ছাত্রাবস্থায় ক্যেম্পাস হল ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করি। স্বাধীনতা উত্তর কালে শিক্ষা জীবন শেষে প্রথমে ঢাকায় সাপ্তাহিক বাংলাদেশ এর কার্য্য নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে যোগ দিয়ে কর্ম জীবন শুরু করলেও পরে আমাদের বারে আইনজীবী হিসাবে যোগদান করি ফলতঃ আমার ঢাকাই জীবনের অবসান হয়। চাচা সিরাজুল হক কুতুব এর সঙ্গেঁ আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনিও ছাত্র জীবন শেষে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়ে পেশাগত ভাবে সংবাদিকতা ও মুদ্রন শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত হন। মেধাবী ছাত্র ও আকর্ষনীয় দেহ সৌষ্টবের অধিকারি চাকরি তার জন্য সহজতর হলেও রাজনৈতিক কারনে তিনি তা করেন নি। ঢাকায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্থায়ী ভাবে ঢাকায় বসবাস করতে থাকেন। পুরান ঢাকার গিঞ্চি গলি অভয় দাশ লেনের তার বাসায় আমি গিয়েছি। শোষনহীন সমাজ বিনির্ম্মানে তার রাজনৈতিক উচ্চাকাংখা থাকলেও নিজের ব্যক্তিগত জীবন সমন্ধে অফসোস হা হুতাশ উচ্চাকাংখা নেই। তার সহধর্মীনি চাকরিজীবী অল্পতেই সন্তুষ্ট তিনি। এক পুত্র, এক কন্যা সন্তানের জনক সিরাজুল হক কুতুব এক মাত্র প্রিয় পুত্রের নাম করন করেছেন পিতা-মাতার নামের সংমিশ্রেনে আনোয়ার সামস আদনান। আমার অনুজপ্রতিম আদনান ল’ পড়ছে- আইনজীবী হবে পিতার মত নামডাক হবে। সুশিক্ষতা বোনটি ও সুন্দরী। সময় মত ভালো ঘরে ভালো বরে পাত্রস্থ হবে। মহান মালিক তাদের মঙ্গঁলকরুন।জীবন বহতা নদীর মত। টাইম এন্ড-টাইড উয়েইট ফর নান। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বুড়ি গঙ্গাঁয় অনেক পানি গড়িয়ে গিয়ে আমরা চাচা ভাতিজাই এখন জীবন সায়াহ্ণে-।পরিনত বয়সেও তার পিতৃ-মাতৃ ভূমি এ অঞ্চলের বর্ত্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি এক অপরিচিত নাম। ক-বছর আগে আমার মাইজম চাচার জানাজার নামাজে আমাদের গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন সেটাই ছিল তার শেষ আসা। গ্রামের বাড়িতে তার যোগাযোগ না থাকলেও তিনি এবং তার দুই ভ্রাতৃদ্বয় আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। কারন তাদের মতে আমি বয়োঃজেষ্ট হিসাবে সেকাল এ কালের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি, জেলা থেকে জেলা এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে সমন্ধয় কারি হিসাবে কাজ করছি। কিতাব প্রেমিক কুতুব চাচা আমাকে তাদের পারিবারিক নসব নামা দিয়ে যোগাযোগ ও খুজ করতে বলেছিলেন। তথ্যমতে কমলগঞ্জ উপজেলাধীন রামপাশার অষ্টাদশ শতাব্দীর কৃতি পুরুষ মির্জা জুনায়েদ বেগ তাদের পূর্ব পুরুষ। আমি রাম পাশানিবাসি আমার স্নেহ ভাজন সৈয়দ সালেহ আহমদ এর বাড়ি গিয়ে মির্জা জুনায়েদ বেগ এর অধঃস্থন বংশধরের সন্ধান করেছি। সদর উপজেলাধীন মাতার কাপন এলাকায় ঐ সময় কার বীর যোদ্ধা মির্জা কানোয়ার বেগ এর অধঃস্থন বংশধর বসবাস করছেন। আলোচনায় গবেষনায় কোন চূড়ান্ত ফলপাইনি-কোন দলিল দস্তাবেজ হস্তগত হয়নি। আমার পর্যালোচনায়ও গবেষনার কোন ইতি বাচক ফল তাকে দিতে পারিনি। পরিনত বয়সে প্রায়ই রাত দশটার পর ল্যেন্ড ফোনে আমাকে ফোন করতেন কুশল মঙ্গলজেনে আমাকে লেখা লেখি প্রসঙ্গে বিভিন্ন পরামর্শ উপদেশ দিতেন। আমার লেখার একজন একনিষ্ট পাঠক-গঠনমূক সমলোচক ছিলেন তিনি। আমার মধ্যযুগের বাংলার সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ক গবেষনা গ্রহ্ণ- আর নয় পলাশী, আর নয় মিরজাফর- পাঠ করে তিনি কুরিয়ার মারকত আমাকে উপহার পাঠিয়েছিলেন ভরতের বিশিষ্ট ইতি হাসবিদ প্রফেসর ড. অমলেন্দ দে রচিত গবেষনা গ্রহ্ণ-” সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের সন্ধানে-”। সচিত্র এই গবেষনা গ্রহ্ণ আমার অজানা, অনেক তথ্যে ঠাসা। গ্রহ্ণের তথ্যমতে সিলেটের যুগল টিলা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদ প্রজা বৎসল নবাব সিরাজুদ্দৌলার পুত্র যুগল কিশোর রায় চৌধুরীর উজ্জল স্মৃতি বহন করছে। আমি সিলেট যাই। আমার লিখিয়ে বন্ধু আফতাব চৌধুরীর সঙ্গে মত বিনিময় করতঃ যুগল টিলায় গায়েবানা জিয়ারত করতঃ সিরাজ পুত্র যুগল কিশোর এর উজ্জল স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। এই নিয়ে সিলেটের বিশিষ্ট আইনজীবী ও শক্তিমান লেখক ই.ইউ, শহীদুল ইসলাম শাহীন ¯েœহ ভাজনেষুর সঙ্গেও মত বিনিময় করি। তিনিও গবেষনা ও পাঠন-পঠনে ঐক্যমত পোষন করেন। আমি উক্ত গ্রহ্ণের রিভিউ করতঃ পত্রিকা ও অনলাইনে ছেড়ে দেই। গ্রহ্ণ সুহৃদ কিতাবপ্রেমিক কুতুব চাচা ঢাকা থেকে সাংবাদিক গবেষক আলতাফ পারভেজ রচিত বিশাল গবেষনা গ্রহ্ণ মুজিব বাহিনী থেকে গন বাহিনী, ইতি হাসের পূনর্পাঠ উপহার পাঠান। এই ভাবে প্রয়োজনীয় পুস্তক পাঠিয়ে, মোবাইল মারফত বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে মুরব্বিয়ানা করতেন। ইতি মধ্যে আমার পিতামাতা গত হয়েছেন। আমারও বয়স হয়েছে, বহু বিধ বার্ধক্য জনিত জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত। বিগত দিনে বিশ্ব ব্যাপী ভয়াবহ বৈশ্বিক ব্যাধি করনা আক্রান্ত হলে, বাংলাশে আমাদের জেলা এলাকায় ও ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের আট পৌরে জীবনে কোয়ারেন্টাইন, আইসলেশন, লক ডাউন, জাতীয় শব্দের বাক্যের ব্যবহার প্রচলন শুরু হয়। আমার সহ কর্মি স্বজন অনেকেই স্বেচ্ছা গৃহ বন্দী হয়ে নিরাপদ জীবন কাটাতে থাকেন। সারা জীবন মানুষের সঙ্গেই থেকেছি, ফলতঃ কোয়ারেন্টানে গৃহ বন্দী হয়ে থাকা আমার ভালো লাগেনি, ঘর থেকে বেরিয়ে গেছি বারে, করনা বিরোধী জন সচেতনতাও উদ্ভোদ্বকরন অভিজানে হাট, মাঠে-বাজারে। যাহয়ার তাই হল, ভয়ানক ছোয়াছে ঘাতক ব্যাধি করনায় আক্রান্ত হলাম- ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা থেকে এসে আমাদের জেলা সদরস্থ আধুনিক হাসপাতালে নীত হলাম, অবস্থা বেগতিক হওয়ায় আমাকে সিলেটস্থ নর্থ ইষ্ট হাসপাতালে নেয়া হল। আমার অবস্থা ভয়াবহ। বৃদ্ধ আর শিশু ই ভাইরাস করনার টার্গেটও শিকার। এই সম্প্রদায়ের রূগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাই। আমার স্ত্রী পুত্র ভাই বোন আত্বীয় স্বজন, দেশে বিদেশে আমার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া হল, নবিজীর শান-মানে মিলাদ শরীফ হল। পরম দয়ালু সর্ব শক্তিমান মহান মালিক আল্লাহর দয়া হল, আমি জীবন মৃত্যোর মুখোমুখি হয়েও ফিরে এলাম। আত্বীয় স্বজনদের মধ্যে চাচা ফজলুর হক আস্পিয়া সকাল বিকাল দুই বার ফোন করতেন জানতে চাইতেন ভাতিঝা কেন এখনও সুস্থ হয় না। আফসোস আমার আমি সুস্থ হলেও তিনি পরবর্ত্তী পর্য্যায়ে করনায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তিকাল করে ছিলেন। তার জীবিতাবস্থায় তার কনিষ্ট ভ্রাতা আমার প্রিয় চাচা, আমার কৈশোরের প্রিয় সাথী সিরাজুল হক কুতুব ঢাকায় ইন্তিকাল করেন। সুঠাম শরীরের অধিকারি সুদর্শন সিরাজুল হক কুতুব এর কোন রুগ বালাই ছিলনা। ধন দেীলত প্লট ফ্ল্যাট ঐশ্বর্য্য-পাচুর্য্য না থাকলেও তার টাকা না থাকলেও দু চোখে দেশ গড়ার সমাজ উন্নয়নের স্বপ্ন ছিল। মুখেমিষ্টি হাসি আর বুক ভরা ভালোবাসা ছিল। তার পরিনত বয়সে লক্ষ করেছি জাগতিক প্রাচুর্যের জন্য তার কোন আফেসোস না থাকলেও তার মুখে মিষ্টি হাসির মাঝে দু’চোখে একটি অব্যক্ত বেদনার ছাপ ছিল। তার রাজনৈতিক জীবন দর্শন প্রসঙ্গে আমার যে, ধারনা, তাতে মনে হয়েছে সাধারন মানুষের দুঃখ কষ্ট ও বেদনা বোধ, তাদের জন্য কিছু না করতে পারা তাকে বেদনাহত করত। আহার বিহার পোষাক আসাকে ও তিনি ছিলেন খুবই সাধারন। পাজামা খদ্দরের পাজ্ঞাবি ছিল তার প্রিয় ও সার্বক্ষনিক পোষাক। শীত এলে কাধে উঠত খদ্দরের কমদামি চাদর। তার সহোদর এডভোকেট ফজলুর হক আস্পিয়া এম.পি যখন জোট সরকারামলে প্রতি মন্ত্রীর মর্যাদায় হুইপ হন তখন তাকে কোন তদবিরের জন্য সচিবালয়, সংসদ ভবন, কিংবা ভাইয়ের বাসায় কোন দিন দেখাযায় নি। তার চাচাত বড় ভাই এম.এ মুনির এবং বৃগেডিয়ার জেনারেল এম.এ মতিন (অব) এর অভিজাত এলাকায় আলীশান ফ্ল্যাট ছাড়াও অন্যান্য আত্বীয় স্বজনের ঢাকায় বাসা-বাড়ি থাকলেও নির্লোভ সিরাজুল হক কুতুব কাউকে বিরক্ত বিব্রত করেন নি, বরং বরাবরই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলে অভয় দাশলেনের গিঞ্চি গলিতে নির্ভয়ে আজীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। জাগতিক না পাওয়ার ব্যথা বেদনা তাকে বেদনাহত কাতর করতে পারে নি “আমার সকল দূঃখের প্রদীপ-” গাইতে গাইতে তিনি সকল দূঃখকে জয় করেছেন হাসি মুখে। সাম্প্রতিক কালে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ বিছিন্ন ছিল। করনা আক্রান্ত এবং করনা মুক্তির পর আমার মোবাইল ব্যবহারে বিধি নিষেধ ছিল- করনা উত্তর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও দূর্বলতায় ভূগছিলাম। এর মধ্যে মোবাইল মারফত শ্রদে¦য় ফজলুল হক আস্পিয়া জানালেন ভাতিঝা তোমার ছোট চাচা ঢাকায় মারা গেছে। দূঃসংবাদটি শুনেই আমি “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন” বলেই হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলাম। চাচা বল্লেন কেঁদোনা সুনামগঞ্জে ও এসোনা তুমি অসুস্থ বিশ্রাম নাও, তার জন্য দোয়াকর। তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী এখানেই, জানাজা এবং বাসায়ই তার লাশদাফন হবে-”। সুনামগঞ্জে সুখে-দুঃখেবিয়ে শাদী জানাজা চল্লিশায় এখান থেকে এক মাত্র আমিই সবসময় যাতায়াত করি। চাচাজান গন সবসময় তাই বলতেন ভাতিঝা তোরপর পিতৃভূমি মৌলভীবাজার এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চীর তরে শেষ হয়ে যাবে। আকস্মিক ভাবে প্রয়াত সিরাজুল হক কুতুব এর নামাজে জানাজায় আমার যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাকে তাদের পুকুর পারের পারিবারিক গোরস্থানে চীর শয়ানে শায়িত করা হয়। এখানে শুয়ে আছেন তার পিতা-মাতা, বোন রহিমা রহমান, ভগ্নি পতি- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলতাফুর রহমান, বড় ভাগ্না অকাল প্রয়াত আমিনুর রহমান রেজুয়ান প্রমুখ। এই ক দিনে তার কবরের মাটি শুকিয়ে গেছে। এখানকার উর্বর মাঠিতে নিশ্চয় গজিয়েছি অনেক ঘাস, হয়ত গজিয়ে গেছে নাম নাজানা অনেক ঘাস ফুল। বাসাও পুকুর পারের সবুজের সমারোহ এবং বনবাদাড় বহুবিধ গাছ গাছালির ছায়ায় শ্যামল মাটির কোমল বিছানায় তিনি চীর শয়ানে। পুকুর পারের গাছ আর কবর গাহের ঘাস গুলি তাকে বুক আগলে রাখছে রোদ আর ঝড় বৃষ্টির কবল থেকে। পরম মায়ায় মমতায়। শিক্ষানুরাগি মরহুম মোহাম্মদ আনোয়ার এর আওলাদ গনের মধ্যে তার কনিষ্ট কন্যা ছালেহা ছত্তার ছাড়া আর কেই বেঁচে নেই। পরলোকে। আমার মমতা ময়ীমায়ের মত ফুফু স্বামীকে হারিয়ে স্বপরিবারের বসবাস করছেন শহরের আরেকাংশে। তার সু-পুত্র এডভোকেট রুহল তুহিন প্রিয় বরেষু পেশাও সমাজ কর্মে বেশনাম ডাক কামিয়েছে। এই বয়সেই জেলাবারের সেক্রেটারি হয়েছে। সুনামবাহী সুনামগঞ্জের সঙ্গে এখন আমার যোগযোগ সুনামগঞ্জের সু-সন্তান, সৈয়দ পুরী পীর বংশীয় সৈয়দ জাদা, সিলেটের বিশিষ্ট কবি গবেষক ও শিক্ষাবিদ অবঃকর্নেল সৈয়দ আলী আহমদ পরম শ্রদ্ধাস্পদেষু মরফত। যিনি আমাকে চাচা হয়েও পরম মায়ায় মমতায় বাবা মুজিব বলে সম্ভোধন করেন, ছোট চাচার মত সিলেট থেকে অনুগ্রহ পূর্বক আলী রচনাবলী পাঠান। সেদিন সুনামগঞ্জ গেলে সকল ভ্রাতৃ হারা ভাগ্য হীনা রমনী বেগম ছালেহা ছত্তার তার প্রিয় ভাই পুত এই হত ভাগ্য আমাকে দেখতে চেয়েছেন। শ্রদ্বেয় কর্নেল আলী চাচাকে প্রস্তাব দিয়েছি আমরা দুজন দুদিনের জন্য ইনশাল্লা সুনামগঞ্জ যাব। ছোট চাচাও সকল মূর্দে গানের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ পড়াব, দোয়াও জিয়ারত করব। ষোল্লঘরের বাসায় আমার ফুফুত ভ্রাতা সুফিয়ান আছে, এন্তে জামে কোন অসুবিধা হবে না, খোদা চাহেনত, ছোট চাচার কবরে নাইনও ক্লক এর বাগান করব ইনশাল্লা। আমাদের মহান স্রষ্টাও প্রতিপালক সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালা আসমানী কিতাব আল কোরআনে ঘোষনা করেন-“কুল্লিন নাফসিন জায়িকাতুল মউত”- জগতের সকল প্রানিকেই একদিন মৃত্যোর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। আল্লাহর এই আইনের কোন ব্যতিক্রম ব্যত্যয় না হলেও মৃত্যোকে সহজ ও স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেন না মূর্দার স্বজন শুভাকাংখীগন। আকুল কান্নায় ব্যকুল হন আফসোস আহাজারি করেন। প্রাকৃতিক নিয়ম এবং আল্লাহী ইচ্ছায় একদিন একজন মূর্দার কবরের মাটি এবং স্বজনদের চোখের পানি শুকিয়ে যায়। মরহুম গন হারিয়ে যান স্মৃতির গভীরে। মৃত্যো প্রসঙ্গে বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর বলেছিলেন- মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই”। কবি গুরুর বেঁচে থাকার এই আকাংখা শারিরীক ছিল না, ছিল কাব্যিক। কার্য্যকি। মানুষ বেচে থাকে কাজের মাঝে। কথার মানুষ, কাজের মানুষ, দূর্বৃত্তায়ন- বানিজ্যায়ান এর এই জোয়ারের মাঝে সৎ মানুষ মহত মানুষ সিরাজুল হক কুতুব বেচে থাকবেন তার কাজের মাঝে। কথার মাঝে। সিরাজুল হক কুতুব এর প্রিয় কবির গান আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। স্বদেশের বাহিরে একধিকদেশের জাতীয় সঙ্গীত। বিশ্ব কবি। বিশ্ব ব্যাপী বিশ্ব কবি আছেন স্বমহিমায়। সিরাজুল হক কুতুব এর প্রিয় সাবান অর্ধশত বৎসর পর এখনও আছে সুভাষে, প্রিয় ফুল নাইনও ক্লক ও আছে সৌরভে গৌরবে রাজকীয় মহিমায় ভঙ্গিমায়, সবই আছে শুধু আপনি নেই ছোট চাচা। পিতৃ-মাতৃ হীন এক অসহায় এতিম-এছির এর জন্য এ বড়ই বেদনায়ক-হৃদয় বিদারক। মানব প্রেমিক কিতাব প্রেমিক শ্রদ্ধেয় সিরাজুল হক কুতুব এর উজ্জল স্মৃতির প্রতি সু-গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করছি, মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মহান মালিক তার বেহেশত নসীব করুন- এই মোনাজাত সহ আমীন। ছুম্মা আমীন।

[ লেখক: মরহুমের আত্বীয়। মুক্তি যোদ্ধা। সিনিত্তর এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি জেলা বার ও প্রেসক্লাব।]

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..