মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ার একটি অভিবাসন বন্দিশিবিরে দাঙ্গা দেখা দেওয়ার পর সেখান থেকে পালিয়ে গেছেন প্রায় ৬০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এ ছাড়া পালানোর সময় দেশটির একটি মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় ৬ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন শিশু।
বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোরে মালয়েশিয়ার একটি বন্দিশিবিরে দাঙ্গার এ ঘটনা ঘটে।
অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে যাওয়া ও মহাসড়কে গাড়ির চাপায় নিহত এসব রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন।
বুধবার এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার ভোরে দাঙ্গা দেখা দেওয়ার পর দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় পেনাং প্রদেশের সুঙ্গাই বাকাপ অস্থায়ী অভিবাসন বন্দিশিবির থেকে মোট ৫৮২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে যান। মূলত বন্দিশিবিরের দরজা ও নিরাপত্তা গ্রিল ভেঙে তারা পালিয়ে যায়। অবশ্য তাদের মধ্যে ৩৬২ জন রোহিঙ্গাকে ইতোমধ্যেই আটক করা হয়েছে।
এদিকে বন্দিশিবিরে দাঙ্গার পর পার্শ্ববর্তী একটি মহাসড়কে ৬ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। বুধবার রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়িচাপায় তারা নিহত হন। নিহত রোহিঙ্গাদের দুজন পুরুষ, দুজন নারী এবং বাকি দুজন ছেলে ও মেয়ে শিশু।
মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের পুলিশ প্রধান ওয়ান হাসান ওয়ান আহমেদ সরাসরি সম্প্রচারিত একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, এই ৬ রোহিঙ্গা যেখানে নিহত হয়েছেন সেই স্থান থেকে বন্দিশিবিরের দূরত্ব প্রায় ৮ কিমি (৫ মাইল)।
মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের কাছে বা বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা রোহিঙ্গাদের কাছে মালয়েশিয়া একটি পছন্দীয় গন্তব্য। তবে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেয় না মালয়েশিয়া।
২০২০ সাল থেকে দেশটিতে যাওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জনাকীর্ণ বন্দিশিবিরগুলোতে আটকে রাখছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। যদিও দেশটির দাবি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই রোহিঙ্গাদের বন্দিশিবিরগুলোতে আটকে রাখা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ বলছে, বুধবারের দাঙ্গার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে পালিয়ে যাওয়া বাকি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আটক করতে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দাঙ্গার আগে পেনাং প্রদেশের সুঙ্গাই বাকাপ অস্থায়ী অভিবাসন বন্দিশিবিরে ৬৬৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছিলেন। বন্দিশিবিরে অবস্থানরত এসব রোহিঙ্গার মধ্যে ১৩৭ জন শিশু।