1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রানা প্লাজা ধস : ৯ বছর ধরে চলছে বিচার

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩৭৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে রানা প্লাজার বেদির সামনে গতকাল সন্ধ্যায় নিহত শ্রমিকদের প্রতি মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
৯ বছর আগে রাজধানীর অদূরে সাভারে রানা প্লাজা (আটতলা বাণিজ্যিক ভবন) ধসে এক হাজার ১৩৪ জন পোশাককর্মী নিহত হন। আহত হন আরো অন্তত দুই হাজার জন। ভয়াবহতম এই দুর্ঘটনায় সে সময় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে দুটি মামলা করা হয়। ছয় বছর আগে এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

তবে বিচারকাজ এগোয়নি খুব একটা। ভবন মালিক সোহেল রানা ছাড়া সব আসামি জামিনে আছেন।
অভিযোগ গঠনের ছয় বছর পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলার বাদী সাভার থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত ১৬ এপ্রিল তাঁর জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আগামী ২৯ মে মামলাটির পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে।

আর ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কয়েকজন আসামি রিভিশন আবেদন করেন। এঁদের মধ্যে ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলার আসামি সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রেফাতউল্লাহর পক্ষে গত বছরের ৭ নভেম্বর এক বছরের জন্য মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। ফলে অভিযোগ গঠনের ছয় বছর পরও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।

হত্যা মামলা

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে রানা প্লাজা ভবন ধসে পড়লে তার নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই দুর্ঘটনায় এক হাজার ১৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন আরো অন্তত দুই হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

ওই দুর্ঘটনায় সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ‘ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা’র অভিযোগ এনে মামলা করেন। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে। আর মামলার ৪১ আসামির মধ্যে ভবন মালিক সোহেল রানার বাবা আব্দুল খালেক, আবু বক্কর সিদ্দিক ও আবুল হোসেন মারা যান। এই তিনজনকে বাদ দিয়ে হত্যা মামলায় বর্তমানে আসামি ৩৮ জন।

২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

ইমারত নির্মাণ মামলা

একই ঘটনায় ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন সাভার থানায় মামলাটি করেন। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবনের মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয় ১৩০ জনকে। ২০১৬ সালের ১৪ জুন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বর্তমানে ওই আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত একজনেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।

এই দুই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব, পৌরসভার সাবেক সচিব মর্জিনা খান, সাবেক সচিব মো. আবুল বাশার, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েব বটমস লিমিটেডের এমডি বজলুস সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।

হত্যা মামলার বিষয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বিমল সমাদ্দার বলেন, ‘এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আন্তরিক। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার বিচারিক কার্যক্রম বিলম্বিত করছেন। তার পরও আশা করছি, বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা যাবে। ’

ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যায়নি। উচ্চ আদালত মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলে আমরা এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করতে পারব। ’

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মদ বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের ছয় বছর পর হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইমারত নির্মাণ আইনের মামলাটি এক আসামির পক্ষে স্থগিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের উচিত দ্রুত স্থগিতাদেশ নিষ্পত্তি করে মামলার কার্যক্রম চালু করা। ’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..