রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডব কয়েক দিন ধরেই নিম্নমুখী। আজ (সোমবার, ২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনার দাপট আরো কমেছে।
এদিন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন ৯৭৭ জন। একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ৫৮ জন।
এর আগের দিন রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১ হাজার ৫২৪ জন। একই সময় ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হন ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন। তার আগের দিন শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হন ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮১ জন। অন্যদিকে মারা যান ২ হাজার ৫২৭ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী সোমবার (২৫ এপ্রিল) পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ কোটি ৯৪ লাখ ৬৮ হাজার ২৬৩ জন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৪ জনে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৪৮ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু ১০ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৫ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৮২১ জন সংক্রমিত হয়েছে। মৃত্যু ৫ লাখ ২২ হাজার ১৯৩ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৩ জন এবং মোট মৃত্যু ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭০১।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২ কোটি ৮৩ লাখ ৩ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০ জন।
পঞ্চম স্থানে উঠে আসা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত ২ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার ৭০০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৬ জন।
আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪২তম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।