1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-পন্ডিত ও দার্শনিক প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর কর্ম ও জীবন দর্শন সংক্রান্ত স্মারক গ্রহ্ণঃ “তোমারি নাম বলব” একখানা প্রাসাঙ্গিঁক প্রকাশনা। স্যারের এই ওফাত বার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি রুহের মাগফিরাত কামনা। । মুজিবুর রহমান মুজিব।

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২
  • ৬০৪ বার পঠিত

পীরানে পীর- ইয়েমেনীবীর হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনীর স্মৃতি বিজড়িত পূন্য ভূমি সিলেট প্রাচীন
কাল থেকেই একটি শিক্ষিত সম্ভান্ত ঐতিহ্য মন্ডিত জনপদ। প্রাচীন কালে সমগ্র বৃহত্তর সিলেট ১.
লাউড় ২. গৌড়, ৩. জৈন্তা, ৪. তরফ ও ৫. ইটা, এই পাঁছ প্রধান সামন্ত রাজ্যে বিভক্ত ছিল। আধুনিক
কালের হবিগঞ্জ জেলা এলাকা ব্যপী তরফ রাজ্যের অস্থিত্ব বিদ্যমান ছিল। তরফের শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতি
প্রসঙ্গেঁ একটি প্রবাদ, প্রচলিত আছে, তরফ ঘরে ঘরে হরফ-। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে, ১৩০৩ সালে বীর
শাহজালল ৩৬০ আউলিয়ার- আউলিয়া বাহিনী নিয়ে পদ ব্রজে সিলেট- তৎকালীন গৌড় রাজ্যে অভিযান
করেন। হযরত শাহ জালালের প্রধান সিপাহ শালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের ব্যতিক্রমী “পূর্ব-পশ্চিমি,”
মাজার হবিগঞ্জের মুড়ার বন্দে বিদ্যমান। হবিগঞ্জ ও একটি প্রাচীন জনপদ। সেকাল থেকে একাল পর্যন্ত
হবিগঞ্জের কৃতি সন্তানগন যুগে যুগে দেশও সমাজ উন্নয়নে কৃতিত্ব পূর্ন অবদান রেখেছেন।
হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গঁ এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম হিসাবে ইতিহাস বিখ্যাত। প্রকাশনা শিল্প এখন
আর রাজধানী ঢাকায় সীমাবদ্ধ নেই। বাংলাও বাঙ্গালির প্রানের মেলা, বাংলা একাডেমী আয়োজিত
একুশের বই মেলার ইতি বাচক ভূমিকা ও অবদান, আবেগ, আমেজ ও আবেদন ও কমবেশী সমগ্র
দেশব্যপী, সৃজনশীল প্রকাশনা আশানুরূপ না হলেও শূন্য নয়, একে বারেই কম নয়,- এবং তাওশুধু দিবস
ভিত্তিক নয়- প্রায় সাং বাৎসরিক। বিভাগীয় সদর সিলেট এবং বিভাগের জেলা উপজেলা পর্য্যায়ে ও
ব্যক্তি প্রাতিষ্টানিক উদ্যোগে দিবসে উৎসবে, প্রাসঙ্গিঁক বিষয়ে পুস্তক প্রকাশিত হয়।
হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, পন্ডিত ও দার্শনিক মরহুম প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর কর্ম
ও জীবন দর্শন সংক্রান্ত, স্মারক গ্রহ্ণ “তোমারই নাম বলব” সম্পাদনা করেছেন তাঁরই কৃতিকন্যা,
অবসর প্রপ্ত অধ্যক্ষ বাপকা বেটি- যোগ্য, পিতার যোগ্য কন্যা প্রফেসর জাহান আরা বেগম। আজীবন
অসম্ভব রকমের মেধাবি, চমৎকার ও উজ্জল ফলাফলের অধিকারি শিক্ষাও জ্ঞান অন্ত প্রান প্রফেসর মোহাম্মদ
আলী বিগত ২০০৩ সালের ২৮শে এপ্রিল প্রিয় জন্ম ভূমি হবিগঞ্জে প্রায় পরিনত বয়সে ইন্তেকাল
করেন। তার জীবদ্ধশায় নব্বই দশকের দিকে তাঁর কতেক বিত্তবান প্রাক্তন ছাত্র তাদের অর্থায়নে তাঁর কর্ম
ও জীবন নিয়ে স্মারক গ্রহ্ণ প্রকাশে তাঁর অনুমতি চাইলে তিনি এড়িয়ে গেছেন। প্রচার বিমূখ
প্রফেসর সাহেব এর ভাব খানা ছিল তার কন্যা প্রফেসর জাহান আরা বেগমের তথ্য মতে- “আমি
সামান্য মানুষ। আমার আবার স্মারক গ্রহ্ণ”-। একাশি সালে সরকারী চাকরি থেকে অবসর নিলেও
তিনি কর্ম জীবন- শিক্ষা ও জ্ঞান বিতরন থেকে অবসর নেন নি। কুমিল্লার কোম্পানী গঞ্জ বদিউল আলম
কলেজ, কুমিল্লা শহরে কুমিল্লা মহিলা কলেজ, ৮৫ সালে হবিগঞ্জ মহিলা কলেজ, ৯৮ সালে বানিয়াচং
শচীন্দ্র কলেজে প্রতিষ্টাতা অধ্যক্ষ হিসাবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। জ্ঞান তাপস
মোহাম্মদ আলী ১৯৫০ সালে ঢাকাবিশ্ব বিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান
অধিকার করে তার শিক্ষক ও শুভানুধ্যয়ী গনকে তাক লাগিয়ে দেন। ১৯৩২ সালে রায়ের পাড়া প্রাথমিক
বিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র হিসাবে মাসিক তিন টাকা হারে বৃত্তি, ১৯৪০ সালে
বানিয়াচং লোক নাথ রমন বিহারী হাই স্কুল থেকে মাসিক বিশ টাহারে বৃত্তি নিয়ে প্রথম বিভাগে
মেট্রিক, ১৯৪৫ সালে বৃন্দাবন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে ডিষ্টিংশন সহ বিত্র পাশ করে তার সমগ্র

শিক্ষাজীবনে মেধা ও প্রতি ভার ছাপ রেখেছিলেন। অথছ তিনি সুনার চামচ মুখে দিয়ে নয়, একটি
মধ্য বিত্ত শিক্ষিত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করে সমগ্র প্রতিকুল পরিবেশ ডিঙ্গিয়ে
ধর্মানুরাগ, কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানু বর্তিতা ও জ্ঞান পিপাসু হওয়ার কারনে শিক্ষা জীবনের সকল
পরিক্ষায় মেধার বিকাশ ঘটিয়েছেন-সকল ফলাফলে ঔজ্জল্য প্রদর্শন করেছেন। জন্ম ও কর্ম সূত্রে মেধাবী
মানুষ জ্ঞান পিপাসু মোহাম্মদ আলী তার কর্ম জীবনে যথাযথ মূল্যয়ন পান নি। তিনি ইচ্ছা করলেই
পাকিস্তানের প্রতিযোগিতা মুলক পরিক্ষা সি.এস.পিতে অংশ গ্রহন করলে জাঁদলের আমলা হতেন।
সচিব থেকে অবসর নিয়ে রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি গুলশানে প্লট ফ্ল্যাটএর
মালিক হতেন জীবনাবসান হলে ঢাকার অভজাত কবর স্থান বনানী কবর স্থানে সমাহিত হতেন। কিন্তু
সহজ সরল সাদামনের ভালো মানুষ, সৎ মানুষ মহত মানুষ, মোহাম্মদ আলী জাগতিক লোভ লালসা চাওয়া
পাওয়া, অর্থ বিত্ত প্রাচুর্য্যরে পথে না গিয়ে একটি মফস্বলীয় কলেজ চেীমুহনী কলেজে দর্শন
শাস্ত্রের লেকচারার হিসাবে স্থায়ী পেশাগত জীবন শুরু করেন। তাঁর ফলাফলের কারনে তাঁকে ঢাকাবিশ্ব
বিদ্যালয়েই নিয়োগ দেয়া যেতে পারত, কিন্তু তিনি কোন তদবির বা প্রভাব বিস্তার না করে নিজস্ব
পসন্দ ও নিয়ম নীতি মোতাবেক সাধারন জীবন যাপন করেছেন অসাধারন কথার মানুষ- কাজের মানুষ
প্রফেসর মোহাম্মদ আলী। এই প্রেক্ষিতে স্মারক গ্রহ্ণে “তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম” শিরোনামে
একটি মূল্যবান প্রবন্ধ লিখেছেন এমসি কালেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ, বিশিষ্ট লেখক গবেষক স্যারের ছাত্র
তুল্য প্রফেসর নন্দলাল শর্ম্মা। শ্রীযুক্ত শর্ম্মা বলেন- এমএ পরিক্ষায় প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়েও তিনি
সি.এস.পি হলেন না তাঁর অভিপ্রায় ছিল শিক্ষকতা করবেন। বিশ্ব বিদ্যালয়েও এমন মেধাবী শিক্ষকের
স্থান হল না তিনি আসলেন সরকারি কলেজে। এখানে তিনটি তৃতীয় বিভাগ নিয়ে ও কেউ কেউ বিশ
বাইশ বছরে অধ্যাপক হন আবার চারটি প্রথম বিভাগ/শ্রেনি থাকলেও অনেককে ত্রিশবছর অপেক্ষা করতে
হয়। অর্থাৎ ন্যায্য প্রাপ্তিতে তিনি নিয়তই বঞ্চিত ছিলেন তবে এনিয়ে তাকে কখনও কোন কথা বলতে
শুনিনি। মনের ব্যথা তার মনেই ছিল এখানে তিনি নীল কন্ঠ”। প্রফেসর মোহাম্মদ আলী স্মারক গ্রহ্ণ-
তোমারই নাম বলব- সম্পাদক মরহুম প্রফেসরের কৃতি কন্যা প্রফেসর জাহান আরা খাতুন-কথাসত্য-
শিরোনামে বলেন- “তার মৃত্যোর পর স্মারক প্রকাশের জন্য অনেকেই আমাকে জোর তাগিদ দিতে শুরু
করলেন। আমার ও মনে হল কাজটা করা দরকার। কোন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই লেখা সংগ্রহের কাজ
মুখে মুখে সম্পন্ন হল। অনেকেই স্বতঃ প্রবৃত্ত হয়ে লেখা দিলেন। তাদের প্রত্যেকের কাছে আমার
বিনম্র কৃতজ্ঞতা। এর মাঝে মদনমোহন কলেজ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক গ্রহীত সিলেট চরিত কথা
গ্রহ্ণ প্রকল্প, যার প্রধান পৃষ্ট পোষক ছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সিলেটের কৃতি সন্তান আবুল মাল
আব্দুল মুহিত। সে প্রকল্পের প্রথম পদক্ষেপে প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর নাম গৃহীত হল। আমাকে দেয়া হল
লেখার দায়িত্ব। স্মারক গ্রহ্ণ আপাতত স্থগিত রেখে এ বিষয়ে নিবিষ্ট হলাম। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের
বিষয় পান্ডুলিপি জমা দেয়ার আগেই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেল। তখন স্মারক গ্রহ্ণ মনোনিবেশের কত
প্রানান্ত চেষ্টা। কিন্তু কোথায় যেনো তাল কেটে গেছে। আগের মত সুর যে আর বাজে না। এই কষ্ট ও
বেদনাবোধের মাঝেও ‘বাপকা বেটি- প্রফেসর জাহান আরা খাতুন গেল বছর বের করেন উল্লেখিত
স্মারক গ্রহ্ণ তোমারই নাম বলব শুধু মাত্র একটি প্রাসাঙ্গিঁক প্রকাশনাই নয় গবেষক অনুসন্ধানী
পাঠকদের জন্য একখান আকর গ্রহ্ণবটে। বাপকা বেটি সিপাইকা ঘোড়া, কুছ নেহিত থোড়া
থোড়া’ বলে বাঙ্গালি সমাজে উর্দ্দ ভাষায় যে কথা কবিতা প্রচলিত আছে তা সংশোধন সময়ের দাবী।
পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বিদ্যমান অবস্থায় দৃষ্টে কথা- কবিতাটি হওয়া প্রয়োজন- বাপকা বেটি
ছিপাহীকা ঘোড়ি-কুছ নেহিত থুড়ি থুড়ি। দিল্লীর সুলতান ইলতুত মিশ এর মৃত্যোর পর তার

অপদার্থ পুত্রের অযোগ্যতার কারনে মরহুম সুলতান কন্যা সুলতানা রাজিয়া দিল্লীর সিংহাসন আরোহন
করে কঠোর ভাবে রাজ্য শাসন করে ছিলেন। প্রেমের সমাধি তাজ মহলের নির্ম্মাতা ভারত বর্ষের বিখ্যাত
সম্রাট শাহজাহান বার্ধক্যে উপনীত হলে মুঘল সিংহাসন নিয়ে ভ্রাতা চতুষ্টয়ের মধ্যে ভ্রতৃঘাতি
সংঘর্ষ গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তৃত্বীয় পুত্র আওঙ্গঁজেব জয় লাভ করে পিতাকে গৃহ বন্দী করতঃ দিল্লীর
সিংহাসন আরোহন করেন। নযর বন্দী শাহান শাহ এ হিন্দ এর মর্ম বেদনার কথা ও করুন কাহিনী ডি,
এল, রায় তার শাহজাহান নাটকে চিত্রিত করেছেন। ভারত সম্রাট এর সেই দুঃখকষ্ট ও বেদনার দিনে একমাত্র
প্রিয় কন্যা জাহান আরা পিতার সেবাযতœ করেছেন। মুঘল ইতিহাসে দুঃখিনি রাজ কন্যা হিসাবে
খ্যাতি অর্জন করেছেন। প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর সকল পুত্র কন্যাগন উচ্চ শিক্ষিত কর্ম জীবনে
সুপ্রতিষ্টিত হলেও প্রফেসর জাহান আরাই কঠিন পদক্ষেপে এগিয়ে এসেছেন, একটি জীবন গ্রহ্ণ
সম্পাদনার জটিল কাজটি করেছেন। দুঃখ ও দূর্ভাগ্য জনক হল এই মদনমোহন কলেজস্থ সাহিত্য পরিষদ
যখন জীবনী গ্রহ্ণ প্রকাশ এর পরিকল্পনা নেন তখন মদনমোহন কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন প্রফেসর ড.
আবুল ফতেহ ফাত্তা যিনি হবিগঞ্জ জেলারই একজন সু-সন্তান। প্রফেসর জাহান আরা সময় মত লেখা
দেয়া না দেয়া প্রসঙ্গেঁ যে আফসোস করেছেন সে প্রসঙ্গেঁ আমি তার সঙ্গেঁ শরীক হতে চাই।
কিছু প্রাসাঙ্গিঁক তথ্য অবহিত করতে চাই। প্রকাশিতব্য জীবনী গ্রহ্ণে ভাষা সৈনিক মরহুম অর্থ ও
পরিকল্প মন্ত্রী এম.সাইফুর রহমানের জীবনী স্থান পেয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ- সাহিত্য পরিষদ এর পক্ষে ড.
আবুল ফতেফাত্তা পত্র মারফত আমাকে শ্রদ্ধেয় এম. সাইফুর রহমান এর কর্ম ও জীবন সংক্রান্ত রচনা লেখার
অনুরোধ জানিয়ে একটি প্রফর্মা-ফর্মেট পাঠালেন, কতেক শর্ত আরোপ করলেন। ষাটের দশক থেকে
লিখছি, এখনও স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কলাম লিখছি, বই ও বেরিয়েছে বেশ কখানি লেখক হিসাবে
আমার একটা নিজস্ব স্বাধীনতা, চিন্তা-চেতনা ধ্যান ধারন আছে। আমার প্রিয় ভাজন প্রফেসর,
কবিও আলোচক নৃপেন্দ্র লাল দাশ ও ড.ফাত্তার সুরে সুর মিলিয়ে লেখাদিতে অনুরোধ করলেন। শর্তারূপ
করে অর্থ কড়ি কামাই কিংবা নাম ডাকের জন্য আমি লিখি না- কিন্তু অর্থ পরিকল্পনা মন্ত্রী
এম.সাইফুর রহমান মরহুম আমার পিতৃ তুল্য পরম শ্রদ্ধেয় গুরুজন-গুনীজন-আমি নিজেও তার ¯েœহ ধন্য
ছিলাম। আমার বহুবিধ বৈষায়িক বিষয় আসায় ভূলে একটি লেখা তৈরীর কাজে মনোনিবেষ করলাম।
কতৃপক্ষের ফর্মাও দিক নির্দেশনা মুতাবেক লেখা সমাপ্ত করে মেয়াদ মধ্যেই পাঠাই কিন্তু দুঃখও
দূর্ভাগ্য জনক ভাবে অদ্যাবদি কলেজ কিংবা সাহিত্য পরিষদ কতৃপক্ষ প্রকল্প জীবনীগ্রহ্ণ এবং আমার
লেখা প্রসঙ্গেঁ কিছু জানান নি। সৌজন্য বোধ দেখান নি। এই শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরনের জন্য
আমি প্রফেসর ফাত্তা কিংবা প্রফেসর দাসকে কিছু বলিনি- কারন তারা দুজনেই আমার বয়োঃ
কনিষ্ট। তারা সৌজন্য বোধ না দেখলেও বয়োঃ জেষ্ট হিসাবে আমারত দেখানো উচিত। ১৯৬৪ সালে
এম.সি কলেজের ছাত্র ছিলাম। তখন ডাকসাইটে অধ্যক্ষ সলমান চৌধুরী কলেজের পিন্সিপাল। আমার
ভালো ফল ছিল। তাঁকে ভাইবা পরিক্ষা দিয়ে উত্তীর্ন হয়ে কলা বিভাগে ভর্তি হই। প্রথমে এমসি,
ইন্টার মিডিয়েট হোষ্টেল অতঃপর সেকেন্ড বøকে বন্ধুবর সৈয়দ ফজলুল্লার রুম মেইট হিসাবে
চলেযাই। তখন কলেজে স্যারদের মধ্যে ইংজেীতে এ.এইচ. মোফাজ্জল করিম, বাংলায় সুধীর চন্দ্র পাল,
আবুল বসর এবং লজিকে প্রফেসর মোহাম্মদী স্যার খুবই ছাত্র প্রিয় শিক্ষক ছিলেন- আমাদের শ্রদ্ধেয়
ও প্রিয় ছিলেন। উজ্জল ফর্সা চেহারা, দীর্ঘ দেহী, পরিচ্ছন্ন পোষাকের মোহাম্মদ আলী স্যার এর
হাতের লেখাছিল ছাপার অক্ষর এর মত সুন্দর, স্মৃতি শক্তি ছিল প্রখর। তাঁর প্রিয় ছাত্রদের নাম ও রোলনাম্বার
তাঁর মুখস্থ থাকত। সাইকেল চালানায়ও তিনি পারদর্শি ছিলেন। স্যার এর চরিত্রের আরেকটি বৈশিষ্ট
ছিল যা- আমি জীবন সায়াহ্ণে এস অনুধাবন করেছি তা হল তিনি ধর্ম ও দর্শনকে মুখোমুখি করে

বিতর্ক সংঘাত সংঘর্ষের দিকে নেন নি একজন দর্শনিক হিসাবে তিনি ছিলেন আস্তিক
ধর্মানুরাগি- ধর্ম প্রান সাচ্চা মুসলমান। অনেক দার্শনিক বাম ভাবাদর্শের আঁতেলগন আল্লাহ-
রাসুলের শক্তি ও মহিমা নিয়ে বিতর্ক করেন বিভ্রান্তি ছড়ান, কিন্তু তিনি তা ছিলেন না। শ্রদ্ধেয়
শিক্ষাগুরু প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর ইন্তেকালের পর তার উপর স্মারক গ্রহ্ণ প্রকাশের সংবাদ পাই অবসর
প্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রন্ধুবর প্রফেসর সৈয়দ ফজলুল্লাহ মারফত। প্রফেসর ফয়েজ বোন জাহান আরার বরাত
দিয়ে আমার কাছে লেখাচাইলে আমি সম্মতি জ্ঞাপন করি, স্বল্পসময়েই লেখা পাঠিয়ে দেই। সময় মত
লেখা দেয়া প্রসঙ্গেঁ আমার একটু সুনাম আছে। তদোপরি একজন প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের জীবন
দর্শন বলেকথা। স্যার তনয়া বোন জাহান আরার স্বাক্ষর সহ স্যারের জীবনী গ্রন্থ উপহার পাই। স্যারের
এবছরের ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের মাগফিরাত, তাঁর কর্ম ও জীবন দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধা
জানানো এবং সামান্য স্মৃতি চারনে এই জৎ সামান্য প্রয়াস। আমাদের কালে গুরু মারা বিদ্যার
প্রচলন ছিল না, তাঁর মত মাহাপন্ডিতের মেধাও জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও পন্ডিতের মূল্যায়ন করার তাঁর একজন
গবেট ছাত্রের পক্ষে ধৃষ্টতাও বেআদবি। তাই তাঁর উজুলস্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, রুহের মাগফিরাত
কামনা করি। শব্দের গাতি থেকে সৃষ্টির উল্লাসে অভিলাস শব্দ কথা প্রকাশন-থেকে জীবনী গ্রহ্ণ
খানি প্রকাশ করেছেন রামকৃষ্ণ মিশন রোড, হবিগঞ্জ মনসুর আহমদ প্রচ্ছদও চিত্র কল্পসুনীল কুমার
এর। প্রথম প্রকাশ গেল সালের জুন মাস। স্বত্ব জাবেদ ইকবাল ও মাহমুদ ইকবাল সুমন। বোর্ড বাধাই
স্যারের সুটেড আবক্ষ ছবি সহ প্রচ্ছদ রুচিশীল। গ্রহ্ণেবহু আর্কষনীয় ছবি সহ ২৪৬ পৃষ্টায় দাম
মাত্র সাদা অফসেট কাগজে ৪৫৪ টাকা। জীবনী গ্রহ্ণ মোট ৪৬টি প্রবন্ধ, মতধ্যে দুটি ইংরেজী
প্রবন্ধ গ্রহ্ণের মান মর্য্যাদাও বাড়িয়ে দিয়েছে। মতধ্যে স্যারের ছাত্র আমার ব্যাচ মেট জাতি সংঘের
অবসর প্রাপ্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান চৌধুরী ও আছেন। রচনা গুলির মধ্যে একটি ছাড়া
সবকটি মূল্যবান। মানসম্মত। এদের মধ্যে স্যারের সন্তান আত্বীয় স্বজন, শুভাকাংখী শুভানু ধ্যায়ীগন
রয়েছেন। এতসব জ্ঞানী গুনী বিদ্যান বিজ্ঞ জনদের কটিন জটিল ও দুরহ কাজটি যে, দুঃসাধ্য অসম্ভব নয়
তাই প্রমান করেছেন যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান বোন জাহান আরা খাতুন। দর্শনের কঠিন ও জটিল
বিষয়কে সহজ ভাবে সহজ সরল প্রাঞ্জল ভাষায় অভিজ্ঞ লেখক বর্গ উপস্থাপন করেছেন। অধ্যপক মোহাম্মদ
আলী এডভোকেট মুজিবুর রহমান নামে পত্রস্থ রচনাটি আমার নিজের। এ লেখার প্রশংসাত নিজে করতে
পারি না। দেড় পৃষ্টার লেখা শেষে ও লেখক পরিচিতি শেষে উল্লেখ আছে সুত্র দৈনিক সিলেটের ডাক
২৮শে এপ্রিল ২০১৭সাল। লেখাটিতে কিছু তথ্যগত ভূল আছে। আমি কোন দিনই বিজ্ঞানের ছাত্র
ছিলাম না, সিলেটে বাসায়ও থাকতাম না, বরাবরই কলেজ হোষ্টেলে থেকেছি। তাছাড়া লেখক হিসাবে
আমি শুধু মুজিবুর রহমান মুজিব ই লিখি। পেশগত পরিচয়ও পদবী ব্যবহার করি না, যদিও আমার পেশার
প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি বর্তমানে মহামান্য হাই কোর্টে তালিকাভূক্ত বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম
প্রবীন আইনজীবী। এই ভ্রান্তিটি কিভাবে হল, বুঝতে পারিনি, আমার লেখায় এই তথ্যগত বিভ্রাটের
জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ইতি পূর্বে আমি দৈনিক সিলেটের ডাকরে মালিক ও প্রান পূরুষ
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি এবং আমার শ্রদ্ধেয় মুরব্বি আলহাজ্ব ড.রাজীব আলীর ব্যক্তিগত অনুরোধে
দৈনিক সিলেটের ডাকে প্রায় নিয়মিতই লিখতাম। স্মারক গ্রহ্ণর ১৬৫ পৃষ্টা থেকে পরিশিষ্ট বিভাগে
স্যারের শুভ বিবাহের ভক্তি উপহার ব্যক্তি গত ও পারিবারিক আলোকে চিত্র স্যারের মূলবান রচনা, স্যারের
জ্ঞানী গুনী ও পন্ডিত পিতা মুন্সিমোঃ সানা উল্লাহর ফার্সি হস্থ লিপি সহবহু মূল্যবান দলিল স্থান
পেয়েছি যা স্মারক গ্রহ্ণ খানিকে এক খানা মূল্যবান গবেসনা গ্রহ্ণে পরিনত হয়েছে। গ্রহ্ণ
খানিকে মান মর্য্যাদা গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জন্যও সম্পাদিকা বোন জাহানা আরা ধন্যবাদ

পাবার হকদার বটে। স্মারক গ্রহ্ণখানি যথার্থ ভাবেই উৎসর্গ করা হয়েছে মুন্সিমোঃ সানা উল্লাহ,
আয়েশা খাতুন এবং মরিয়ম খাতুনের নামে। ঝকঝকে ছাপায় ছাপা খানার ভূত নেই বল্লেই চলে। আমি
এই গ্রহ্ণর বহুল প্রচার কামনা করি। আঠাইশে এপ্রিল শ্রদ্ধেয় শিক্ষাশুরু আদশ্য শিক্ষক পন্ডিত ও
দার্শনিক প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর ওফাত বার্ষিকী। স্যারের ওফাত বার্ষিকীতে তাঁর উজ্জল স্মৃতির
প্রতি সুগভীর শ্রদ্ধঞ্জলি নিবেদন করছি। এই সৎ ধর্ম পরায়ন জ্ঞান তাপসের রুহের মাগফিরাত কামনা
করছি। মহান মালিক তার বেহেশত নসিব করুন এই মোনাজাত সহ আমীন ছুম্মা আমীন।

[ স্যারের প্রাক্তন ছাত্র। মুক্তিযোদ্ধা। এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি জেলা আইনজীবী
সমিতি ও মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..