সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : ২০১৭ সালে ৪ কোটি রূপীতে সানরাইজার্স হায়দারাবাদে বিক্রি হয়ে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন রশিদ খান। পরের বছর তার সম্মানী উঠেছে ৯ কোটিতে।
২০১৮ থেকে ২০২১-এই চার বছর সানরাইজার্স হায়দারাবাদে রিটেইন ক্রিকেটার হিসেবে পেয়েছেন রশিদ খান প্রতি আসরে ৯কোটি রূপী করে! আইপিএলে ধারাবাহিক বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ খান এবার গুজরাট টাইটান্সে বিক্রি হয়েছেন ১৫ কোটি রূপীতে ! ভাবুন তো।
আমাদের মোস্তাফিজ যেখানে বেজ প্রাইস ২ কোটি রূপীতে বিক্রি হয়ে সন্তুষ্ট, সাকিব কখনো ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার উপরে আইপিএলে বিক্রি হতে পারেননি, সেখানে রশিদ খানের মূল্য আইপিএলে ১৫ কোটি রূপী!!
ফ্রাঞ্চাইজিদের এই আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন রশিদ খান এবার বাড়তি পরিচয়ে। ৩১৯ টি-২০ ম্যাচে ৪৪৩ উইকেটে বোলার পরিচয়টা তার মূখ্য হলেও এবার বোলিং নয়, ব্যাটিংয়ে চেনাচ্ছেন নিজেকে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে শেষ থ্রিলারে গুজরাট টাইটান্সকে জিতিয়েছেন ২১ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংসে। ১০ দিন আগে পুনেতে সেই ইনিংসের চেয়েও বুধবার মুম্বাইয়ের রাতটি একটু বেশিই উদযাপন করেছেন রশিদ খান।
বোলিংয়ে মার খেয়ে (৪-০-৪৫-০) ব্যাটিংয়ে জবাব দিতে চেয়েছিলেন। ১১ বলে ৪ ছক্কায়২৮১.৮১ স্ট্রাইক রেটে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংসে অবিশ্বাস্য ভাবে নিজের পুরোনো দল সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে দিয়েছেন হারিয়ে রশিদ খান।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২২ রানের টার্গেটটা কঠিনই মনে হওয়ার কথা। ওই ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মার্কো জনসনের প্রথম বলে ছক্কা এবং দ্বিতীয় বলে সিঙ্গল নিয়ে রাহুল তিওয়াতিয়া রশিদ খানকে যখন স্ট্রাইক দেন, তখন ৪ বলে গুজরাটের দরকার ১৫ রান। অথচ, স্ট্রাইক নিয়েই জানসেনের স্লোয়ারে মেরেছেন ছক্কা রশিদ খান। পরের বলটি ডট হলে শেষ দুই বলে টার্গেট দাঁড়ায় ৯ রান। ওভারের ৫ম বলে লো ফুলটসে এক্সট্রা কভার দিয়ে ছক্কা মেরেছেন। শেষ বলে ৩ রানের টার্গেটে ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছক্কার শটে জিতিয়েছেন গুজরাটকে রশিদ খান।
রশিদ খান ফিনিশার হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন। তবে ১৯৬ চেজ করে জয়ের কক্ষপথে গুজরাটকে রেখেছেন ঋদ্ধিমান সাহা ৩৮ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায় ৬৫, রাহুল তিওয়াতিয়া ২১ বলে ৪০*। এই রাহুল তিওয়াতিয়া-রশিদ খানের অবিচ্ছিন্ন জুটির ২৪ বলে ৫৯ রানেই পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থানে রেখেছে গুজরাটকে (৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট)।
এই ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের অভিষেক শর্মা (৪২ বলে ৬৫), এইডেন মার্করাম (৪০ বলে ৫৬) করেছেন দারুণ ব্যাটিং। তবে নিজের ক্যারিয়ার সেরা এবং আইপিএলের চলমান আসর সেরা বোলিং করেছেন সানরাইজার্সের জম্মু-কাশ্মীরের পেসার উমরান মালিক (৪-০-২৫-৫)। ৫টি উইকেটের ৪টিই বোল্ড। ওই চারটিই আবার ইয়র্কার ডেলিভারিতে।
সানরাইজার্স হায়দারাবাদ : ১৯৫/৬ (২০.০ ওভারে)
গুজরাট টাইটান্স : ১৯৯/৫ (২০.০ ওভারে)
ফল : গুজরাট টাইটান্স ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : উমরান মালিক (সানরাইজার্স হায়দারাবাদ)।