রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শেরপুরের নয়টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। গ্রামগুলো হলো- শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর, গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয় আনি পাড়া, নকলা উপজেলার নারায়নখোলা ও চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল।
সোমবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামায়াতে শতাধিক করে মুসল্লি অংশ নেন। এসব জামায়াতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি ১০ থেকে ২৫ জন করে নারী মুসল্লি পর্দার আড়ালে একই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মুসল্লি আব্দুল সাত্তার বলেন, অনেকদিন ধরে আমরা যারা এই এলাকায় বসবাস করি, তারা সবাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করি। নামাজ আদায় শেষে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাই, তারাও আমাদের বাড়িতে আসে। সারাদিন আমরা অনেক আনন্দ করি।
আরেক মুসল্লি নূরনবী মিয়া বলেন, এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। কারণ আমরা সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ করি। নামাজ আদায় শেষে আমরা আত্মীয় ও বন্ধুদের বাড়িতে যাই, তারাও আসে। এটা নতুন নয়। আগে তাও কম কম মানুষ জামাতে অংশ গ্রহণ করতো, এখন দিন দিন তা বাড়তেছে।
তবে সাধারণ এক মুসল্লি জানান, গত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় নিজেদের সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত বলে দাবিদার কিছু লোক সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছে।
নকলা উপজেলার চরকৈয়া এলাকার ইমাম মাওলানা মো. সারোয়ার জাহান বলেন, প্রতিবছর সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে রোজা রাখাসহ ঈদের নামাজ পড়া হয়। তবে কোরবানি বাংলাদেশের ঈদের দিনই দেওয়া হয়।
গোবিন্দনগরের মুফতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, এটা নতুন নয়, প্রতি বছরই আমরা জামাত করি। তবে করোনার কারণে গত বছর মসজিদে করতে হয়েছে, এবার করোনা না থাকায় মাঠে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পেরেছে মুসল্লিরা। আগে মানুষ জামাতে কম অংশ নিতো, এখন দিন দিন অংশগ্রহণ বাড়ছে।