রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: দুই বছর পর আবারও প্রাণ পেলো ঈদ উৎসব। আনন্দমুখর পরিবেশে চট্টগ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বন্দরনগরীতে এবারও ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে। আজ মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল ৮টায় জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের খতিব আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।
আগের দুই বছর মহামারির বিধিনিষেধে উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত হতে পারেনি। তাই এবার নামাজ শুরুর বেশ আগে থেকেই নতুন জামাকাপড় পরে ঈদগাহে আসতে থাকেন নানা বয়সী মুসল্লি। সবার চোখেমুখে ছিল স্বস্তির আবেশ। তারা সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করেন ময়দানে। প্রবেশের আগে তল্লাশিসহ নানা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় প্রথম জামাতে অংশ নেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিএনপি নেতা ও সাবেকমন্ত্রী মীর মো. নাসির উদ্দিন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টি নেতা সোলায়মান আলম শেঠসহ রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং সব শ্রেণিপেশার মানুষ। এই জামাতে প্রায় এক লাখ মুসল্লি অংশ নেন বলে জানান সিটির কর্মকর্তারা।
নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ-জাতির শান্তি, কল্যাণ কামনা ছাড়াও সমবেত প্রার্থনা ছিল করোনার মতো আর কোনও মহামারি যেন মানবজাতির জীবনে না আসে। মহামারিতে সংকটে পড়া সব মানুষ যেন আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন। সব সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেন, সেই দোয়া করা হয় মোনাজাতে।
ঈদগাহ থেকে বের হয়ে কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা। স্বস্তি জানান, এবার নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পেরে। একই স্থানে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমুদুল হক।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির প্রধান জামাত হয় সকাল ৯টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সম্মুখ মাঠে। এতে ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান। বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ সর্বস্তরের মানুষ এই জামাতে অংশ নেন।
এছাড়া নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মসজিদ, ঈদগাহসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ জামাত। সব জামাতে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।