রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
মিজানুর রহমান :: পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে ঈদের ছুটিতে দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় করেছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র ছিল হাজারও পর্যটকদের ভিড়ে উৎসবমুখর। এছাড়া মাধবকুণ্ড, হাকালুকি হাওর, হামহাম জলপ্রপাতসহ জেলার নানান দর্শনীয় স্থানগুলোতেও পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।
পর্যটকদের পদচারনায় হোটেল-রিসোর্টগুলোর কক্ষ ভাড়া হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তারা করোনার মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
সবুজের সান্নিধ্যে ঈদের ছুটি কাটাতে শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই, মাধবপুর লেক, বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক আকর্ষণ করেছে পর্যটকদের চোখ।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জয়নাল আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটি হওয়ার অনেক আগেই অনালাইনে শ্রীমঙ্গলের একটি হোটেলের কক্ষ ভাড়া করে রেখেছিলাম। ছুটি শুরু হতেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে আসলাম। সবুজ চায়ের বাগান, টিলা, বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখছি। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য যেকোনো মানুষকে বিমোহিত করে।
লাউয়াছড়ায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের দিকনির্দেশনা, বিনোদন ও নিরাপত্তা দিতে র্যাব ও পর্যটক পুলিশ সেখানে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
লাউয়াছড়ার টিকেট কালেকক্টর শাহিন মিয়া জানিয়েছেন, ঈদের দ্বিতীয় দিন ছিল বৃষ্টিবিঘ্ন। তবুও প্রায় নয় হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছেন লাউয়াছড়ায়।
গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরের স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমেদ বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমাদের রিসোর্টের সব কক্ষ আগামী ১০ মে পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। অন্যান্য রিসোর্টেও একই অবস্থা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা শ্রীমঙ্গল থানার সাথে সমন্বয় করে কাজ করছি। যেহেতু ঈদের ছুটিতে শ্রীমঙ্গলে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা এসেছেন, সেহেতু আমরা বিভিন্ন পর্যটন স্পর্টে পর্যাপ্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারেন, ভালোভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’