রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : মানিকগঞ্জের ঘিওরে মা ও দুই মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (০৮ মে) ভোরের কোনো এক সময় স্বামী আসাদুজ্জামান রুবেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের দন্ত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রুবেলের স্ত্রী লাভলী (৩৫), মেয়ে ছোঁয়া (১৬) ও কথা (১২)। বড় মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম এবং ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের দন্ত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রুবেলের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রুবেল নিজেই তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর ধারণা, রোববার (৮ মে) ভোর ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে দন্ত চিকিৎসক আছাদুজ্জামান তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যান। সকালে উঠে এলাকাবাসী ঘরে মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর জাহান লাবনী জানান, আছাদুজ্জামান ঋণগ্রস্ত ছিলেন। সেই হতাশা থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে। ঘাতক পুলিশের নজরদারিতে আছেন। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।