সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার সংক্রমণে কুপোকাত বাংলাদেশও। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ভয়াবহতা আরও ব্যাপক। দেশে গত একমাস ধরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ এর আশে পাশে মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনা মোকাবিলায় দেশে গত ১৩ এপ্রিল থেকে দেয়া হয়েছে কঠোর লকডাউন। ২ ধাপে বাড়িয়ে এরই মধ্যে তৃতীয় ধাপে আরও এক সপ্তাহ (৫ মে পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে এই লকডাউন। যদিও অর্থনীতির কথা চিন্তা করে দেশের দোকানপাট সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু দোকান খোলার প্রথম দিনই যে চিত্র গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, তা উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হলেও তা বেশিরভাগই উপেক্ষিত হয়েছে। মাস্ক নেই, থাকলেও থুতনির নীচে, গায়ে গা লাগিয়ে ভিড় করে থাকাসহ নানা নেতিবাচক চিত্র দেখা গেছে রাজধানীসহ সারাদেশের মার্কেটগুলোতে।
ভারতে এই মুর্হূতে করোনার পরিস্থিতি সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর। নির্বাচন, ধর্মীয় জমায়েত ও অপ্রয়োজনীয় নানা কারণে সেদেশের সংক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মৃত্যু ও তিন লাখের বেশি মানুষ করোনাক্রান্ত হচ্ছে দেশটিতে। আমাদের দেশেও কী এর প্রভাব পড়তে পারে? করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প একেবারেই নেই। ভ্যাকসিনকে সর্বশেষ ভরসা বলা হলেও ভ্যাকসিন স্বল্পতা ও অপ্রাপ্তি আরেক বিপদকে সামনে টেনে এনেছে। কাজেই অহেতুক ঘোরাঘুরি আর অসতর্ক না হয়ে প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা, নাহলে সামনে ভারতে মতো মহা মহাবিপদ হয়তো অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। এমনটাই মনে করছেন দেশের স্বাস্থ্যবিদগণ।