বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
শুভ গোয়ালা :: করোনা মহামারির রেশ কাটিয়ে এবার ঈদে পর্যটকে ভরপুর চা ও পর্যটন নগরী মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার সব-কটি পর্যটন কেন্দ্র। গত ২ বছর মহামারি কোভিডের বিধিনিষেধ শেষে দীর্ঘ সময় পর ভিন্ন আমেজে চলছে এবার ঈদের আনন্দ।
কুলাউড়ায় পর্যটকদের আগমন ঘটেছে কালাপাহাড়,পালটিল্লা, সিআরপি রেস্ট হাউজ, চা বাগান, হাকালুকি হাওর, কাটাইলিয়া লেক, চায়ের রাজ্যে ছোট্ট সাজেক, খাসিয়া পল্লীসহ অনেক দর্শনীয় স্থান।
পাহাড়ি টিলা আর নদী হাওরের সমারোহে চায়ের দেশ আর সবুজের সমারোহ রাজ্যে পর্যটকদের প্রতিটি পলকেই প্রশান্তির পরশ এনে দিচ্ছ। চা বাগানের পাহাড়ি টিলার পরতে পরতে যেন সবুজের ঢেউ খেলা করছে। আঁকাবাঁকা মেঠো পথে ঈদের দিন থেকেই পর্যটকদের আগমন ঘটছে।
জানা যায়, স্থানীয়রা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকে ভরপুর এখন ‘কালাপাহাড়’। এটি কার্মধা ইউনিয়নের বেগুণছড়া পুঞ্জিতে অবস্থিত। এর মধ্যে একটি পাহাড় যার উচ্চতা ১০৯৮ ফুট। এটি সিলেট বিভাগের সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়া। সবাই পাহাড়ের উচ্চতায় উঠে প্রকৃতির সুন্দর্যকে উপভোগ করতে আসছেন এখানে।
সরেজমিনে ৫, ৬ এবং ৭ মে পালটিল্লা, সিআরপি রেস্ট হাউজ, চা-বাগান, কাটাইলিয়া লেক, চায়ের রাজ্যে ছোট্ট সাজেকে ঘুরে দেখা যায়, পর্যটকে ভরপুর স্থানগুলো। ঈদের দিন থেকেই পর্যটকের আগমন ঘটে। পালটিল্লায় বিকেল বেলা পর্যটকদের আগমন বেশি দেখা যাচ্ছে। এবার নতুন পর্যটক স্থান ‘চায়ের রাজ্যে ছোট্ট সাজেক’ সংবাদ প্রকাশের পর সেখানে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম দেখা যাচ্ছে। পর্যটক কামরুল আহমেদ বলেন, এখানের বিভিন্ন পাহাড়ি ফুলের সমাগম, নানান প্রজাতির পাখির কোলাহল,ছোট্ট-বড় পাহাড়, চারিদিকে সবুজের সমারোহ, বানরদের এক ডাল থেকে অন্য ডালে লাফালাফি পর্যটকদের মন ভরে দিচ্ছে।
তাছাড়াও বিভিন্ন চা-বাগান গুলোতে যেমন, হিংগাজিয়া চা-বাগান, হলিছড়া চা-বাগান, মাথিউরা চা-বাগানে দফায় দফায় পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে পর্ষটকদের আগমন দেখা যাচ্ছে৷ চা-বাগানের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগের চেয়ে অনেক বেশি চা-বাগানে পর্যটনের সংখ্যা বেড়েছে। এর কারন জানতে চাইলে তারা বলেন, এখন দিনের পর দিন চা-বাগানকে বিভিন্ন ভাবে সুন্দর্য মন্ডিত করা হচ্ছে। এটি সবার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলছে।