শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শেষে নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
এর মধ্যে দিয়ে ৩৬ বছর আগে গণঅভুত্থানে ক্ষমতা হারানো মার্কোস পরিবার আবারও দেশটির ক্ষমতায় ফিরছে। ঐতিহাসিক সেই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ক্ষমতা হারানোর পর তার ছেলে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ওরফে বংবং এবার বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হচ্ছেন।
৬১ শতাংশ ভোট গণনায় দেখা গেছে, বংবং পেয়েছেন ৩ কোটি ৬ লাখ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনি রবরেডো পেয়েছেন ১ কোটি ৪৬ লাখ ভোট।
চূড়ান্ত ঘোষণা না আসলেও দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক ফলাফল বলছে, সাবেক সেনেটর বংবং মার্কোস তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ভোটের ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ের পথে রয়েছেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে আছেন বংবংয়ের রানিং মেট, দাভাও শহরের সাবেক মেয়র সারা দুতার্তে যিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের মেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনেটর কিকো প্যানগিলিনানের চেয়ে দুই কোটিরও বেশি ভোট পেয়েছেন।
ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ওরফে বংবং দেশটির ১৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হচ্ছেন। সোমবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রচুর মানুষকে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে।
এদিকে ভোট শুরুর পর স্থানীয় সময় সকালে মিন্দানাও দ্বীপের বুলুন পৌর এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে বন্দুকধারীদের গুলিতে তিন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১ কোটি মানুষের দেশ ফিলিপাইনে কয়েক কোটি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে ভোটাররা প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ১২ জন সিনেটর, ৩০০ আইনপ্রণেতাসহ ১৮ হাজার প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
ফিলিপাইনে নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি খুব নাজুক হয়ে ওঠে। এর কারণ হলো দেশটির সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দুর্বল বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন। কিন্তু পুলিশ দাবি করছে, বিগত সময়ের চেয়ে এবার নির্বাচনের সময়কার পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত।