রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে ১৫টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত ও ১৭টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮ টায় ঘুর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় উকারগাঁও গ্রামে মোকামবাড়ি একটি হাটি আছে। এখানে ৩২টি দিনমজুর পরিবারের কাঁচাঘর রয়েছে। সকালের দিকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেলে ১৫টি ঘর বিধ্বস্ত হয়। ঘরের টিন, আসবাবপত্র ও থালাবাসনসহ নানা জিনিসপত্র সড়কে, নদীতে ও ডোবায় পড়ে আছে। অবশিষ্ট ১৭টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঝুঁকির মুখে আছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। যে কোন সময় এই ঘরগুলো ভেঙ্গে যেতে পারে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়াই দিশেহারা হতদরিদ্র পরিবারগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘর হারিয়ে ১৫টি পরিবার এখন নি:স্ব হয়ে পড়েছেন। কোথায় আশ্রয় নিবে, কোথায় রান্নাবান্না করে খাবে এই দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন তারা। নতুন ঘর নির্মাণের উপায় নেই তাদের। দ্রুত তাদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে নতুন ঘর নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসি। ক্ষতিগ্রস্ত আফিজ আলী জানান, আমার তিন ছেলে এক মেয়ে নিয়ে ঘরে বসতি স্থাপন করে আসছি। আমি দিন মজুর। ঘুর্ণিঝড়ে ঘর হারিয়ে আমি এখন নি:স্ব। কোথায়ও মাথা গোজার ঠাঁই পাব জানিনা। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ আমাদের দুরাবস্থা দেখতে আসেননি। আমাদের দুর্ভোগের কথা ভেবে নতুন ঘর নির্মাণের দাবি জানান প্রশাসনের প্রতি। সাহেদ আলী জানান, আমি ৬ হাত জায়গার উপর একটি ঘর করে বসবাস করে আসছি। আমার কোন ছেলে নেই। ৫ মেয়ে নিয়ে কষ্ট করে আছি। হঠাৎ করে ঘর উড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছি। জানিনা কোথায় থাকব, কোথায় খাব।
উকারগাঁও গ্রামের সচেতন যুবক আমিরুল ইসলাম জানান, যে ঘরগুলো বিধ্বস্ত হয়েছে এরা খুব অসহায়। নতুন ঘর নির্মাণের তৌফিক নেই তাদের। এলাকার জনপ্রতিনিধি, ধণাঢ্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার উজ জামান বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ঘরগুলো খাস জমিতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দ্রুত নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মালিকানা জায়গা হলে তাদের ঘরের বিষয়ে সহায়তা করা যায় কিনা চিন্তা করব।