মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: জকিগঞ্জ উপজেলার নয়া গ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলায় আব্দুর রশিদ মিয়াজান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষ কর্তৃক একই এলাকার জিয়াউর রহমান গংরা হত্যার চেষ্টায় শেষমেষ সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়,আব্দুর রশিদ মিয়াজান তাদের বৈধ সম্পত্তি, প্রবাসী জিয়াউর রহমানের গং এর নামে স্যাটেলমেন্ট জরিপে আর এস রেকর্ড হলে মিয়াজান রেকর্ড সংশোধনের জন্য লেন্ড স্যারবে মামলা ও সত্য মোকদ্দমা নং ১৭৬৯,২০২১ ইং এ মামলা গুলো দায় করলে মামলা তুলে নেওয়া জন্য জিয়াউর রহমান গংরা ভয়ভীত সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দামকি সহ নির্যাতন করে আসছে। এ অবস্থায় গত ৬ এপ্রিল জিয়াউর রহমান বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে আব্দুর রশিদ মিয়াজান ও তা স্ত্রী হেনা বেগমকে ভিন্ন অকথ্য ভাবে গালি-গালাজ করতে থাকে। শেষে গত ১০এপ্রিল আনুমানিক বিকেল ৪ ঘটিকার সময় মিয়াজানদের বাড়ির উঠানে জিয়াউর রহমান সহ অন্যরা লাঠি সটা নিয়ে ও সুপারি গাছের লাঠি নিয়ে একদল দাঙ্গাবাজ মিয়াজানের উপর হামলা চালায় এ সময় তাদেরকে এলোপাতারি মারপিট করে গুরুতর আহত অবস্থায় মিয়াজান মাটিতে পড়লে গেলে জিয়াউর রহমান হত্যার উদ্দেশ্যে আব্দুল রশিদ মিয়াজানের গলায় বটি দা ধরে মূত্যুর নিশ্চিত করতে চায়। আব্দুল রশিদ মিয়াজানের হাতে ও পায়ে ধরে রাখে। এসময় সাক্ষী মনাপ মিয়া জিয়াউর রহমানের হাত থেকে দা উদ্ধার করে মিয়াজান কে প্রানে বাঁচান। তার স্ত্রী হেনা বেগম আগাইয়া আসিলে তাকে ও উলেখিত আসামিরা চুলে ধরে প্রচন্ড মারপিট করে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময়ে জিয়াউর রহমান হেনা বেগমের গলায় থাকা ৭০ হাজার টাকার মূল্যের স্বর্নের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন আহত এ দুজন কে উদ্ধার করে প্রথমে জকিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আব্দুর রশিদ মিয়াজান এর অবস্থার অবনতি ঘটলে আশংকা জনক অবস্থায় সিলেট উসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় গত ১১ মে মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ মিয়াজান বাদি হয়ে মৃত আতাউর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান(৩৮) ফয়জুর রহমান (৩২) মহিবুর রহমান (৫২) কে আসামি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালে একটি অভিযোগ ও জকিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় যদি কোনো মামলা করা হলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় জিয়াউর রহমান ও তা সহযোগিরা। উলেখিত আসামী বিদেশে পলায়ন করিতে পারে বলে জানায় ভুক্ত ভোগীরা।