বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক :: দক্ষিণী সিনেমার জোয়ারে অশনিসংকেতের আভাস পাচ্ছে বলিউড। কয়েক বছর আগেও দক্ষিণী সিনেমাকে আঞ্চলিক সিনেমা হিসেবেই দেখা হতো। এখন চিত্রটা ঠিক উল্টো। গল্প, নির্মাণশৈলী কিংবা ব্যবসায়িক সাফল্য—সবকিছুতে রীতিমতো বলিউডকে টেক্কা দিচ্ছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি। পারিশ্রমিকের দিক দিয়েও বলিউড তারকাদের তুলনায় এগিয়ে আছেন দক্ষিণী তারকারা। সম্প্রতি তেলুগু সুপারস্টার মহেশ বাবুর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিষয়টি আবারও এসেছে আলোচনায়। মহেশ দাবি করেছেন, বলিউড তাঁকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে পারবে না। তাই বলিউডে কাজ করার ইচ্ছে নেই বলেই মন্তব্য তাঁর। সত্যিই কি তাই? একনজরে দেখে নেওয়া যাক দুই ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের পারিশ্রমিকের ব্যবধান।
বলিউড
শাহরুখ, সালমান ও আমির—বলিউডের এ তিন খান এখন পারিশ্রমিক নেন না। তাঁরা লভ্যাংশেই বিশ্বাসী। হৃতিক রোশনও লভ্যাংশের বিনিময়ে চুক্তি সই করেন। অক্ষয় কুমার প্রতিটি সিনেমার জন্য বর্তমানে ১৩৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন। অক্ষয়ের পরই তালিকায় আছে রণবীর কাপুরের নাম। সিনেমা প্রতি তাঁর পারিশ্রমিক ৭০ কোটি রুপি। প্রতি সিনেমার জন্য ৫০ কোটি রুপি পান রণবীর সিং। রণবীর সিংয়ের মতোই প্রতি সিনেমায় ৫০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন টাইগার শ্রফ। এরপরই তালিকায় আছে বরুণ ধাওয়ানের নাম। প্রতি সিনেমার জন্য ৩৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন তিনি। শাহিদ কাপুর একটি সিনেমার জন্য ৩০ কোটি রুপি নেন।
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি
ভারতজুড়ে দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির চল হওয়ার পর দক্ষিণী তারকাদের পারিশ্রমিক বেড়েছে আরও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ‘থালাইভা’ রজনীকান্ত প্রতি সিনেমায় ১০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন। ‘বাহুবলী’ তারকা প্রভাসও এখন ১০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক হাঁকাচ্ছেন প্রতি সিনেমার জন্য। রামচরণ আগে সিনেমাপ্রতি ৩৫ কোটি রুপি নিতেন। আরআরআর সিনেমার জন্য পেয়েছেন প্রায় ৪৩ কোটি রুপি। সিনেমাটির তুমুল সাফল্যের পর তিনিও যোগ দিয়েছেন ১০০ কোটি রুপির ক্লাবে।
মহেশ বাবু প্রতি সিনেমার জন্য ৫৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিতেন। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি রুপিতে। এস এস রাজামৌলির ‘আরআরআর’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ৪৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছেন জুনিয়র এন টি আর।
‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর জনিপ্রয়তার পর থেকে এই সিনেমার সিক্যুয়েলের জন্য ৬০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন আল্লু অর্জুন।