1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বন্যার প্রকোপ ঠেকাতে বর্ষার আগেই নদী খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ মে, ২০২২
  • ১৭৮ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে আবুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এই দুই নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারেও আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমরা নদী খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে।

বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের চালিবন্দর এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটি বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সিলেটে এই মৌসুমে সবসময়ই ঢল নামে। আমাদের ছেলেবেলায়ই এমনটি দেখেছি। কিন্তু পানি আটকে থাকতো না। চলে যেতো। কারণ আমাদেও শহরেও অনেক পুকুর ও দিঘী ছিল। প্রত্যেক বাড়ির সামনে পুকুর ছিল। আর সিলেটকে বলা হতো দিঘীর শহর। কিন্তু এখন আমরা নগরের ভেতরের সব পুকুর দিঘী ভরাট করে বড় বড় বিল্ডিং করেছি। হাওরগুলো ভরাট করে ফেলেছি। এছাড়া প্রধান নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। খালি মাঠগুলো ভরাট হয়ে গেছে। একারণে পানি নামতে পারছে না। যে কোনো দুর্যোগেই সিলেটের জন্য এটা একটা ভয়ের কারণ।

মন্ত্রী নগরের ভেতরের পুকুর-দিঘীসহ জলাশয়গুলো রক্ষায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া ড্রেনগুলো খনন করা ও আরও বড় করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সিস্টেমটাকে নষ্ট করা যাবে না।

বন্যার্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই পানি বেশি দিন থাকবে না। দ্রুতই নেমে যাবে। ফলে কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে। এই সময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুল হক।

এসময় তিনি বলেন, সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫ লক্ষ টাকা ও ২০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত আছে। আমরা আজকে সিলেটের দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখবো। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবো। সবার সাথে আলাপ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানবো। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক বছরই এই অঞ্চলে ঢল নামে। কিন্তু এবার ব্যাপক আকারে ঢল নামছে। সিলেটের উজানে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবার বন্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

বন্যা মোকাবেলায় আগামীতে এই অঞ্চলের নদনদীগুলোর নব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান এই প্রতিমন্ত্রীও। তিনি বলেন, নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। এই নদীগুলো ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চালিবন্দরে ত্রাণ বিতরণ শেষে দুই মন্ত্রী মিরাবাজার এলাকার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপর সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..