মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংকট সামাল দিতে চীনের নেতৃত্বাধীন ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ তে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নেতৃত্বে ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভা শুরু হয় দুপুর দুইটায়, শেষ হয় বিকেল চারটায়।
এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আতমার, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাকদুম শাহ মোহাম্মদ কুরেশি, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদ্বীপ গাওয়ালি। তবে ছিলেন না ভারতের কোনো প্রতিনিধি।
পরে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘মানুষের মঙ্গলের জন্যে যা যা প্রয়োজন সে লক্ষ্যে সব বহুজাতিক উদ্যোগের সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ। এ প্ল্যাটফর্মে ভারতকেও যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
তিনি জানান, টিকা পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত ভ্যাকসিন, মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন সাপ্লাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে দুই সপ্তাহের মধ্যে কেউ টিকা দিতে পারবে না। এ ছাড়া, ডব্লিউএইচও এর অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ কারো টিকা নিতে পারে না।
‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছাড়া কোনো টিকা নিলে বাংলাদেশ ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে প্রয়োজনে অনুমতি দেবে। যুক্তরাষ্ট্র অ্যাস্ট্রাজেনেকার কিছু টিকা বিক্রি করবে। আমরা সেটা আনারও চেষ্টা করব। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে বাকি টিকা আনার বিষয়ে। অন্য দেশগুলো থেকে টিকা আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়ে রেখেছেন।’
কোভিড সংশ্লিষ্ট ও কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমূদ্রের নিকটবর্তী হওয়ার বাংলাদেশে স্টোরেজ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে আলোচনায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, প্রস্তাব থাকলেও স্থান নির্বাচন হয়নি। স্টোরেজ ম্যানেজমেন্টের বিশদ পরিকল্পনাও এখনও তৈরি হয়নি।
মোমেন বলেন, চীনের অভিজ্ঞতার আলোকে পোস্ট কোভিড দারিদ্র্য দূরীকরণ সেন্টার গঠন হবে। গ্রামীণ জনপদে ব্যবসা বাড়াতে ই কমার্স স্প্রেড করানোর প্রোগ্রাম করা হবে। যেন গ্রামের লোকের ব্যবসাও ভালো থাকে।
এই আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুও তোলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, অং সান সু চি পরবর্তী মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরাতে ‘ত্রি পক্ষীয় ব্যবস্থাপনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আয়োজন’ সম্প্রতিক বন্ধ হওয়ায় চীনের আবারও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।