মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: শ্রীমঙ্গল উপজেলার নওয়াগাঁও গ্রামে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে প্রতিবন্ধী মেয়েকে মেরে মারাতœক ভাবে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত প্রতিবন্ধী পারুল আক্তার (৩৬) চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে দেয়নি, প্রায় ৩ ঘন্টা ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে হামলাকারীরা। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগীতা চাইলে কেহ সহযোগীতা করেনি বলে অভিযোগ করেন প্রতিবন্ধী। জানা গেছে প্রতিবন্ধীর প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় কেহ প্রতিবাদ করতে চায়না। পরে রাতের অন্ধকারে আহত পারুল আক্তারকে নিকট আদ্বীয় শ্রীমঙ্গল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি দেখে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আহত পারুল আক্তারকে অজ্ঞাত কারনে পরদিন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে মারাত্বক আহত প্রতিবন্ধী উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজাস্থ লাইফ লাইন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে তার বৃদ্ধ পিতা ফজলুর রহমান(৭০) ও মা ফরিজান বিবি(৬০) কে পারুল বেগমকে হামলাকরী মো: তাজ মিয়া গংরা ঘরের ভিতর অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে জানা গেছে। শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, মো : আব্দুল রহিমের পিতার ক্রয়কৃত জমি অবৈধ ভাবে চাচা মো: তাজ মিয়া(৫০), মো: আব্দুল ছমির(৪৫), চাচাত্ব ভাই মো: হাফিজ মিয়া(৩৫), আলাল মিয়া (২৮),কামাল মিয়া (২২), সাহেদ মিয়া(২০) তাদের নামে অবৈধ ভাবে রেকর্ড করে ফেলে। এজমালিয় সম্পত্তির ৯ ফুট রাস্তা স্থানীয় মুরব্বিগনের মাধ্যমে ভাগ বাটোয়ারা করা হয়। অবৈধ ভাবে রেকর্ডে করা জমি নিয়ে সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলে স্বত্ব মামালা চলমান আছে। গত ১৬ মে মো: তাজ মিয়া গংরা রাস্তায় বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। নিরীহ মো: আব্দুল রহিম এব্যাপারে চাচা মো: তাজ মিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তাকে প্রানে মারার হুমকি দেয়। আব্দুল রহিম শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম ঘটনা স্থলে গিয়ে রাস্তার বেড়া তাদেরে দিয়ে খোলে দেন। এসময় রাস্তার পার্শ্বে পুলিশের রাখা তার মোটর সাইকেলের হেলমেট কে বা কারা নিয়ে যায় এবং মোটর সাইকেলের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়। পুলিশ তদন্ত করে চলে আসার পর বিকেল সাড়ে ৬ টায় মো: তাজ মিয়ার হুকুমে মো: আব্দুল রহিমের চাচি সায়মনা বেগম, নুরুনাহার বেগম,শাম্মী বেগম, ঊর্মি বেগমসহ অন্যরা আব্দুর রহিমের ঘরে আক্রমন চালায়। এসময় সকলে ঘরের ভিতর আশ্রয় নিতে পারলেও প্রতিবন্ধী পারুল আক্তার বাহিরে থেকে যায়। পারুল আক্তারকে একা পেয়ে মারধোর করে মূমুর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। তাদের ভয়ে প্রায় ৩ঘন্টা পারুল আক্তাকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পুলিশ চলে যাবার পর আবার রাস্তাটি মো: তাজ মিয়া গংর্ াবন্ধ করে দেয়। বর্তমানে রাস্তা বন্ধ ও তাজ মিয়া গংদের হুমিকিতে আব্দুর রহিমের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে তাদের অভিযোগ। এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রহিমের অভিযোগ তদন্তে গিয়ে রাস্তা বন্ধ পেয়ে খোলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এসময় কে বা কারা আমার হেলমেটটি মোটর সাইকেল থেকে নিয়ে যায় এবং মোটর সইকেলের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে পারুল আক্তারকে মারার কথা শুনেছি। থানায় অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।