মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
গল্পঃ” জীবন কেন রহস্যে ঘেরা ”
লেখিকাঃনুরজাহান_লিজা
(সম্পাদনায়ঃসোয়েব মোহাম্মাদ)
আধা ঘন্টা ধরে হাতে ছুরি নিয়ে বসে আছি। কাটব নাকি কাটব না।ভাবতে ভাবতে বাম হাতের কব্জি কেটেই ফেললাম!
নাহ্ তেমন কিছু তো হলো না রক্ত পড়ছে একটু শুধু বুঝতে পারলাম। কিন্তু কিছু সময় যাবার পরে বসা অবস্থায় খাট থেকে নিচে পড়ে গেলাম।হয়তো পড়ে যাওয়ার শব্দ আম্মু শুনতে পেয়ে ছুটে এসে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন আমাকে আর চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন আর বললেন,” এটা কি করছিস মনি?”এই তোর কিছু হবে না,তোর মা কি তোর আগেই মরে গিয়েছিলো?কেন তোর ডিপ্রেশনের কথা এই মাকে বললি না?তোর মৃত্যু দেখতে কি এতো কষ্ট করে পৃথিবীতে এনেছিলাম? এই মনি একদম চোখ বন্ধ করবিনা।আমি কথা দিচ্ছি তোকে, এবার বেঁচে গেলে তোর বোনের মত স্বাধীন ভাবে চলতে দিব, সিদ্ধান্তের গুরুত্ব দিব।কিন্তু তোকে ও কথা দিতে হবে মারা যাবি না।এই মুহূর্তে আম্মুকে ছোট বাচ্চাদের মত লাগছে।
বাবা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ডাক্তারকে কেঁদে কেঁদে ফোন করছে।কী আশ্চর্য! এই মানুষটা কাঁদতেও পারে?যে আমাকে কঠোর ভাষায় শাসন করতো তার চোখে পানি। সে আমাকে এত ভালোবাসে?
এই মুহূর্তে বলতে ইচ্ছে করছে আম্মু বাবা তোমাদের অনেক বেশি ভালোবাসি।
নাহ্ পারছি না আর।দেহের সমস্ত শক্তি শেষ। কথা ও বলতে পারছিনা।চোখ বেয়ে শুধু পানি পড়ছে।চাচ্ছি না চোখ দুটো বন্ধ করতে। কিছু সময় পর নীরবতা……
না এখনো বসে আছি ছুরি হাতে। হাত কাটতে পারিনি পরের মুহূর্ত গুলোই এইভাবে ভেবে। কেন আর একটা মানুষের জন্য নিজের জীবন দিব এত গুলো মানুষকে কষ্ট দিয়ে?অনেক সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন আত্মহত্যা করা। অনেকেই বুঝতে পারে না তার জীবনের এক ধাপের পর আরেক ধাপ রহস্যে ঘেরা। আমরা সব সময় চেষ্টা করি এই রহস্য থেকে বের হতে।
(মানুষ সব সময় চেষ্টা করে তার জীবনের ঘটনার শেষ দেখতে,রহস্য খুঁজে বের করতে। এই রহস্যের উৎস জানতেই একটা মানুষকে বেঁচে থাকার উৎসাহ দেয়)