শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখায় যৌতুক লোভী স্বামী আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপীর অমানসিক নির্যাতনে অর্ধমৃত গৃহবধু সুলতানা বেগমকে বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুজাউল গ্রামে অভিযুক্ত আব্দুল কাইয়ুমের বাড়িতে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজাউল গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে প্রায় ৭ বছর পূর্বে সায়পুর গ্রামের আব্দুল মালিকের মেয়ে সুলতানা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী যৌতুক দাবীতে সুলতানার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে সুলতানাকে বাবার বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। অপারগতা প্রকাশ করলেই দুই সন্তানের জননী সুলতানার ওপর চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি স্বামী ও সতিনের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছিলেন। গত শনিবার আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী বাবার বাড়ি থেকে টাকা এতে দেয়ার জন্য সুলতানা বেগমের ওপর আমানসিক নির্যাতন চালিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় একটি ঘরে তাকে বন্দী করে রাখে। খবর পেয়ে গৃহবধু সুলতানা বেগমের বাবা আব্দুল মালিক থানা পুলিশ নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় বন্দীদশা থেকে তাকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
বড়লেখার শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মাসুক মিয়া জানান, ভিকটিমের বাবার অভিযোগ পেয়েই শনিবার রাতে তিনি আহত গৃহবধু সুলতানা বেগমকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে দুই সন্তানসহ বাবার জিম্মায় দিয়েছেন। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।