1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তামিম

শেখ জামালের ৬৮তম জন্মদিন আজ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৯৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৬৮তম জন্মদিন আজ (বুধবার)। ১৯৫৪ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

শৈশব টুঙ্গিপাড়ায় কাটিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে। সেখান থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছিলেন শেখ জামাল।

বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে যুক্তরাজ্য থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার ছিলেন শেখ জামাল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে পরিবারের সবার সঙ্গে শহীদ হয়েছিলেন সদ্য বিবাহিত শেখ জামালও।

গান পছন্দ করতেন শেখ জামাল; তাই তো শিখতেন গিটার। আবার দক্ষ ক্রিকেটার হিসেবেও তার সুনাম ছিল বন্ধুমহলে। এসব নিয়ে হয়তো ভবিষ্যতের জন্য আরও স্বপ্ন জমা করে রেখেছিলেন কিশোর শেখ জামাল। কিন্তু, এর মধ্যেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। রাজধানীর ধানমণ্ডির ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে পরিবারের সবার সঙ্গে গৃহবন্দি হন শেখ জামালও। কিন্তু রক্তে যার দেশপ্রেম, তাকে বেশি দিন গৃহবন্দি রাখা যায়নি।

১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তীক্ষ্ণ নজর থেকে পালিয়ে ভারতের আগরতলা চলে যান শেখ জামাল। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে যান উত্তর প্রদেশের কালশিতে। সেখানে মুজিব বাহিনীর ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ জামাল। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা।

বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছা ছিল শেখ জামাল হবেন সেনা কর্মকর্তা। সেই ইচ্ছা পূরণ করতেই ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন বিশ্বের অন্যতম সামরিক একাডেমি যুক্তরাজ্যের স্যান্ডহার্স্টে। যুক্তরাজ্যের এই রয়েল মিলিটারি একাডেমির শর্ট সার্ভিস কমিশনের মেয়াদ ছিল ছয় মাস। ১৯৭৫ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কোর্সে অংশ নেন শেখ জামাল। এই কোর্সে ৪০০ জন ক্যাডেটের মধ্যে ৩০ জন ছিলেন বিদেশি, তাদের মধ্যে তিনজন ছিলেন বাংলাদেশি। কঠোর প্রশিক্ষণের পর ১৯৭৫ সালের ২৭ জুন শেষ হয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই কোর্স।

১৯৭৫ সালের ১ আগস্ট থেকে স্যান্ডহার্স্টে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হওয়ার কথা ছিল। শর্ট কোর্সে ভালো করায় সেখানেও প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ পান শেখ জামাল। কিন্তু ততদিনে বাড়ির জন্য মন কেমন করা শুরু হয়ে গেছে শেখ জামালের। তাই এমন সুযোগ পেয়েও শেখ জামাল ফিরে আসেন দেশে। কে জানতো বাড়ি ফেরার এই সিদ্ধান্তই তার জীবনকে তছনছ করে দেবে।

১৯৭৫ সালের জুলাইয়ে দেশে ফিরে আসেন শেখ জামাল। সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট হিসেবে তার পোস্টিং হয় ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে।

এরপর পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন শেখ জামাল। স্ত্রী রোজী কামালের হাতের মেহেদির রঙ তখনো ফিকে হয়নি। এর মধ্যেই আসে বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস রাত ১৫ আগস্ট। ঘাতকের নির্মম বুলেটে স্ত্রী রোজীর হাতের মেহেদি আর বুকের তাজা রক্ত হয়ে যায় একাকার। পরিবারের সবার সঙ্গে শহীদ হন নির্ভীক, নিরহংকারী আর প্রতিশ্রুতিশীল এক সেনা কর্মকর্তা শেখ জামালও।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..