সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: মহামারি করোনার পর বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংক খাত। এর মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি, অপরটি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার। এ দুই কারণে বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। এটি মোকাবিলায় শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, সরকারি বেসরকারি সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সমষ্টিগতভাবে কাজ করতে হবে।
আজ শনিবার (২৮ মে ) ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
গভর্নর বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছি সেগুলো মেনে চললে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিলাসী পণ্য আমদানি থেকে বিরত থাকবেন। এলসি ওপেনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু মার্জিন দিয়েছি এগুলো আপনারা পরিপালন করবেন। আমরা সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরাসরি ডলার সরবরাহ করছি। এটা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া খাদ্য, শিশু-খাদ্য ,সার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, কৃষিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সুযোগ করে দিয়েছি। যেসব পণ্য অতি প্রয়োজনীয় নয় সেগুলো আমরা নিরুৎসাহিত করছি।
ফজলে কবির বলেন, করোনার সময় আমরা যেভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি আমরা বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সেভাবেই মোকাবিলা করে করতে সক্ষম হব বলে আশা করছি।
মহামারি করোনায় ১৮৯ জন ব্যাংকার মৃত্যুবরণ করেছেন জানিয়ে গভর্নর বলেন, ২০২০ সালে আমাদের পেন্ডামিকের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। ওই সময় ব্যাংকের কার্যক্রম সচল রাখতে হয়ে-ছে। ব্যাংকগুলো সম্মুখ সারিতে ছিল। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে গিয়ে কিছু ক্ষতিও হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মোট ১৮৯ জন ব্যাংকার মৃত্যুবরণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সেলিম রহমান। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ফরমান আর চৌধুরী ছাড়াও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।