বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ বন্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা একমত হয়েছেন। ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল আমদানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে আপাতত পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে না।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিশেল বলেছেন, নতুন এ চুক্তি রাশিয়ার যুদ্ধ ‘অর্থায়নের বিশাল একটি উৎস’ বন্ধ করে দেবে।
তিনি বলেন, ইইউ রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক সবেরব্যাংক ও রাষ্ট্র-মালিকানাধীন তিনটি সম্প্রচারমাধ্যমের ওপরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে।
রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনে ইইউ সদস্য দেশগুলো গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও প্রধানত হাঙ্গেরিই তেল আমদানি পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
শেষ পর্যন্ত ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে ইইউতে আসা তেলের ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড়’ দিয়ে এ আপস করতে হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান মিশেল।
এ কারণে নিষেধাজ্ঞা এখন মূলত সমুদ্রপথ দিয়ে যাওয়া তেলের ক্ষেত্রেই কার্যকর হচ্ছে। ইইউ রাশিয়া থেকে যত তেল আমদানি করে তার দুই-তৃতীয়াংশই সমুদ্র দিয়ে যায়।
তবে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লিয়েন বলেছেন, রাশিয়া থেকে আমদানি দুই-তৃতীয়াংশের বেশিই বন্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কেননা, জার্মানি ও পোল্যান্ড স্বেচ্ছায় এ বছরের মধ্যে তাদের পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাকি যে ১০ থেকে ১১ শতাংশ থাকবে, তা মূল হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক রিপাবলিকে যাবে। ছাড়ের বিষয়টি ‘যত দ্রুত সম্ভব’ পুনর্বিবেচনা করবে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল, বলেছেন তিনি।