রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
মশাহিদ আহমদ :: কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেক গ্রামে পূর্বপুরুষের মালিকানাধীন ভূমি বিগত জরিপকালে ( চৈত্রঘাট মৌজার বিভিন্ন খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত ৪৩৬ ও ৪৩৯নং দাগ, ভূমির শ্রেনী- আমন ) বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর নামে খাল রখম ভূমি হিসাবে রেকর্ডভূক্ত করায় বিপাকে পড়েছেন ভূমির মালিক মোঃ মাহমুদ মিয়া উরফে মাহমুদ হোসেন গংরা। সর্বশেষ বিগত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর তফলীল বর্ণিত ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন সাপেক্ষে স্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার আবেদন করেছেন মোঃ মাহমুদ মিয়া উরফে মাহমুদ হোসেন। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন ও অন্যান্য সুত্রে জানা গেছে- বংশানুক্রমিক ভাবে প্রতিবছর উক্তভূুমিতে আমন ধান রোপন করে ফসল উৎপাদন করে সরেজমিন ভোগদখল, ভূমির খাজনাদি সনসন আদায়ক্রমে প্রার্থীত ভূমিতে ভোগদখল থাকা অবস্থায় বর্তমান রেকর্ডে আমন শ্রেণীর স্থলে খাল শ্রেনী উলে¬খ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর নামে রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। সেই সুয়োগকে কাজে লাগিয়ে একই এলাকার হারুনুর রশিদ উরফে রশিদ মিয়াগংরা তপলীল বর্ণিত ভূমি জোরপূবৃক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং ঘর নির্মাণ করেন। এ ঘঠনায় ভুক্তভোগী মোঃ মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে হারুনুর রশিদ উরফে রশিদ মিয়াগংদের আসামী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (পিটিশন মামলা নং- ৭১/২০২১ইং (কমল) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত বিরোধীয় ভূমিতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা মোতাবেক উভয় পক্ষকে শান্তি শৃ্খংলা বজায় রাখার জন্য কমলগঞ্জ থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে কমলগঞ্জ থানার এসআই মোঃ হারুন-অর রশিদ চৌধুরী দীর্ঘ তদন্ত শেষে বাদীর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সর্বশেষ এ ঘঠনায় বিগত ৩ এপ্রিল উক্ত সুষ্ট বিরোধ নিস্পতির লক্ষ্যে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ইসলাম মিয়ার বাড়ীতে আপোষ-মীমাংসার বৈঠক অনুষ্টিত হলে হারুনুর রশিদ উরফে রশিদ মিয়াগংরা উপস্থিত না হওয়ায় তা সমাধান সম্ভব হয়নি। এ প্রতিবেদকসহ একাধিক সাংবাদিক সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উক্ত ভূমিতে হারুনুর রশিদ উরফে রশিদ মিয়াগ দের নির্মিত একটি টিনসেট বাড়ী ও লোকজন বসবাস করছে।