মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : পথ ভুলে যাওয়া দলের কাছে একটা জয় খুব করে চাইছিলেন হান্স ফ্লিক। তবে প্রতিপক্ষের গোলমুখে বারবার ধুঁকতে থাকা দল তার চাওয়া যে এমন দাপুটে পারফরম্যান্সে পূরণ করবে, তা বুঝি ভাবতেও পারেননি জার্মানি কোচ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইতালির রক্ষণে চাপ ধরে রেখে একের পর এক গোল উদযাপন করলেন মুলার-ভেরনাররা। বর্তমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের নাস্তানাবুদ করে বিশ্বকাপের বছরে নতুনভাবে জেগে উঠল ফ্লিকের দল। ইউয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জার্মানির কাছে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ইতালি।
মনশেনগ্লাডবাখের বরুশিয়া-পার্কে ম্যাচের শুরু থেকেই ইতালিকে চেপে ধরে জার্মানি। ম্যাচের দশম মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা।
বাম দিক থেকে ডেভিড গাউমের বাড়ানো ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাম পায়ের প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলকে লিড এনে দেন কিমিখ। এরপর বল নিজেদের দখলে রেখে আক্রমণ চালাতে থাকলেও সফলতার মুখ দেখছিলেন না হান্স ফ্লিকের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন ইলকাই গিনদোয়ান। ইতালির ডি-বক্সে ইয়োনাস হফম্যান পেছন থেকে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। সেখান থেকে সফল স্পটকিকের মাধ্যমে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গিনদোয়ান।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়ায় জার্মানি। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিটের মাথায় দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন টমাস মুলার।
পরপর দুই মিনিটের মাথায় (৬৮ ও ৬৯তম মিনিট) ইতালির জালে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন ভেরনার। এই দুই আঘাতে একেবারেই জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইতালির। স্কোরলাইনে তখন ব্যবধান ৫-০।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইতালি হাল তখনও ছাড়েনি। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ম্যানুয়েল নয়ারকে ফাঁকি দিয়ে ইয়োন্তো ব্যবধান কমান। আর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন বাস্তোনি।
তাতে লাভ খুব একটা হয়নি। হারকে সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়তে হয় ইতালির।
এই জয়ে প্রথমবারের মতো নেশনস লিগের ফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে থাকল জার্মানি। চার ম্যাচে তিন ড্র আর এক জয়ে পয়েন্ট ছয় টেবিলের দুইয়ে থাকা দলটির। আর তিনে রয়েছে ইতালি।
সবাইকে চমকে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে হাঙ্গেরি। অন্যদিকে টেবিলের তলানিতে অবস্থান ইংল্যান্ডের।