সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: ‘জনশুমারিতে তথ্য দিন,পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন’এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে মৌলভীবাজারে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ কার্যক্রমের উদ্বোধনী র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বুধবার (১৫ জুন) কবুতর উড়িয়ে এই র্যালির উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
র্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়।
এসময় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: জিয়াউর রহমান,মৌলভীবাজার জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক নন্দিনী দেব, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মাসুদ প্রমূখ।
এছাড়াও র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন কত, তা জানতেই মূলত রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ডসহ দেশে এ ধরনের স্থানগুলোতে ভাসমান মানুষ গণনাসহ তাদের সম্পর্কে মৌলিক জনমিতিক, আর্থ-সামাজিক ও বাসগৃহসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এই জনশুমারিতে।
এবারের শুমারিতে ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাবলেট ব্যবহার করে কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পার্সনাল ইন্টারভিউং (সিএপিআই) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সহজে ও সুনির্দিষ্টভাবে শুমারির গণনা এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং কোনো খানা গণনা থেকে বাদ না পড়া বা একাধিকবার গণনা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও গুগল সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। ২য় জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। দশ বছর পর্যাবৃত্তি অনুসরণপূর্বক দেশের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম জনশুমারি ও গৃহগণনা যথাক্রমে ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের ন্যায় ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনায় ১০ বছর পর্যাবৃত্তি অনুসরণপূর্বক ২০২১ সালে পরিচালনা করা সম্ভব না হলেও ১৫-২১ জুনে মূল শুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।