মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সুদের হার সর্বোচ্চ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
স্থানীয় সময় বুধবার ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মূল সুদের হার দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত মাসে মুদ্রাস্ফীতি অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে মার্চের পর থেকে তৃতীয়বারের মতো এ হার বাড়াল ফেডারেল রিজার্ভ।
সুদের হার আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, যা চলমান অনিশ্চিত অর্থনৈতিক বাস্তবতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
করোনাভাইরাস মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দেশে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। এমন বাস্তবতায় সুদের হার বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।
যুক্তরাজ্যে এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৯ শতাংশ হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড গত ডিসেম্বরের পর থেকে পঞ্চমবারের মতো সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারে বৃহস্পতিবার। ব্যাংকটি ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো মূল সুদের হার ১ শতাংশের বেশি বাড়াতে পারে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্রাজিল, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে সুদের হার বাড়িয়েছে। এই গ্রীষ্মের শেষের দিকে একই ধরনের উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক।
২০২০ সালে মহামারির মধ্যে অর্থনীতিকে সচল রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানো হয়েছিল, তবে চলতি বছর এরই মধ্যে দুবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বাড়িয়েছে দেশটি।
মার্চে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানো হয় দশমিক ২৫ শতাংশ। মে মাসে সেটি আরও দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়।
শেষবার সুদের হার বাড়ানোর সময় ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সুদের হার বড় পরিসরে বাড়ানোর চিন্তা করছেন না, তবে গত শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মে মাসে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৮.৬ শতাংশ হয়েছে, যেটি ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ।
সুদের হার নিয়ে বৈঠক শেষে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান বলেন, মের মুদ্রাস্ফীতির কারণে কর্মকর্তাদের আরও আগ্রাসী সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
সুদের হার দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধিকে ‘অস্বাভাবিক বেশি’ আখ্যা দিয়ে জেরোমি পাওয়েল বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতিকে কমিয়ে আনা দরকার।’