সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :: ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বড় নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অবিরাম বর্ষণে রাজ্যের অনেক জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। আসামের ২৫টি জেলার অন্তত ১১ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বন্যা কবলের পড়েছে নতুন গঠন করা বাজালি জেলা। ব্রহ্মপুত্র ও গৌরঙ্গা নদীর পানি অনেক জায়গায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোর ১৯ হাজার ৭৮২ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী ৭২টি রাজস্ব অঞ্চলের এক হাজার ৫১০টি গ্রাম বর্তমানে পানির নিচে রয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোর প্রশাসন সতর্কতা জারি করে বাসিন্দাদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া ঘরে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
টানা তৃতীয় দিনের মতো আসামের রাজধানী গোয়াহাটির বেশিরভাগ স্থান পানি জমে অচল হয়ে রয়েছে। গোয়াহাটির বেশ কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসের কথা জানা গেছে। এতে অজন্তানগর এবং নুনমাটি এলাকায় তিনজন আহত হয়েছেন।
বক্সা জেলার সুবানখাতা এলাকার একটি সেতুর খানিকটা অংশ বুধবার ধসে গেছে। অবিরাম বর্ষণ এবং দিহিং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ছয়টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে এছাড়া আরও চারটির যাত্রা আংশিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। লোয়ার আসামের রঞ্জিয়া বিভাগের নলবাড়ি এবং গোরাখপুরের মধ্যকার ট্রেন লাইনে পানি জমে যাওয়ায় এসব যাত্রা বাতিল করা হয় বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
আসামের বন্যাকবলিত মানুষকে সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঁচ লাখ রুপি অনুদান দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর এবং পরিচালক রোহিত শেঠি। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক টুইট বার্তায় তাদের এই উদারতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আসাম ছাড়াও মেঘালয় এবং অরুণাচল রাজ্যেও অতি ভারী বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। মেঘালয়ে ভূমিধস, বজ্রপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
মেঘালয়ের রাজ্য সরকার রাজ্যের চারটি অঞ্চল দেখার জন্য চারটি কমিটি গঠন করেছে৷ প্রতিটি কমিটির নেতৃত্বে একজন কেবিনেট মন্ত্রী রয়েছেন। হাইওয়ের কিছু অংশ ধসে পড়ে এবং ভেসে যাওয়ার পরে জাতীয় সড়ক ৬-এ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম এবং মেঘালয়ের কিছু অংশের লাইফলাইন।