সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : মুখে দুর্গন্ধ, মানসিক চাপ, কেউবা শখ করে হলেও চুইংগাম চিবান। বাচ্চা থেকে বুড়ো অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে চুইংগাম। তবে খেলার মাঠে চুইংগাম চিবানোর দৃশ্য সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
ক্রিকেটের নিয়ম কানুন সম্পর্কে অনেকেরই জানা আছে। তবে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা নিয়ে সাধারণ মানুষের তেমন জানা নেই। যেমন, ক্রিকেটারদের অনবরত চুইংগাম খাওয়া। কপিল দেব, ভিভ রিচার্ডস থেকে শুরু করে সাকিব, তামিম, বিরাট কোহলিদের খেলার সময় চুইংগাম খেতে দেখা যায়। অনেকে এটিকে স্টাইল স্টেটমেন্ট বলে ভাবলেও এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।
শান্ত এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায়
মাঠে ক্রিকেটারদের শান্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে চুইংগামের গুরুত্ব অপরিহার্য। চুইংগাম একজন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সে সহায়তা করার জন্য সাইকোজেনিক টুল হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
হাইড্রেশন
এতক্ষণ মাঠে দাঁড়িয়ে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের মতো গরম আবহাওয়ায়। চুইংগাম আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করতে পারে। যদিও চুইংগাম শরীরে পানির পরিমাণ বাড়ায় না ঠিকই তবে এটি চিবিয়ে খাওয়ার ফলে বেশি লালা বের হয়। ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে তৃষ্ণার্ত লাগতে পারে। এর ফলেই খেলোয়াড় বেশি পানি পান করে।
একাগ্রতা
চুইংগাম মনকে একাগ্র রেখে অন্যমনস্কতা ঘটতে বাধা দেয়। ক্রিকেট ম্যাচের সময়কাল খুব দীর্ঘ হতে পারে এবং কেউ সহজেই মনোযোগ হারাতে পারেন। তখন মাঠের ফোকাসের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে ফিল্ডারদের জন্য।
প্রতিক্রিয়ার সময়
এটি আপনার রিফ্লেক্স গতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে চুইংগাম সতর্কতার মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শরীরের বাকি অংশে দ্রুত বার্তা পাঠাতে সক্ষম করে।
শক্তি জোগায়
চুইংগামে গ্লুকোজ থাকে যা দুর্দান্ত রিভাইটালাইজার! খেলোয়াড়ের শক্তি কমতে থাকলে বা ক্লান্ত লাগলে তা দারুণ কাজে আসে।