মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে গতি ফিরেছে। সচল হয়েছে শিল্প-কারখানার চাকা। ধীরে ধীরে আগের অবস্থানে ফিরছে তৈরিপোশাক খাতও। ফলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। সামগ্রিক অর্থনৈতিক এই গতির সঙ্গে বাড়ছে দেশের কোটিপতির সংখ্যা। চলতি বছরের তিন মাসে ব্যাংক খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬০৩টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব মতে, গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশের ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার বেশি থাকা হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সে সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২০২২ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে দেশে কোটিপতি হসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৭টিতে। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটিপতি হিসাবধারীর (ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান) সংখ্যা বেড়েছে এক হাজার ৬২১টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এসব হিসাবে (মার্চ প্রান্তিক শেষে) আমানতের পরিমাণ ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। যা গত ডিসেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে এসব হিসাবে আমানত বেড়েছে নয় হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোয় কোটি টাকার ওপরে জমা আছে এমন ঋণ হিসাব ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৬টি। ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৪টি। আলোচ্য তিন মাসে কোটিপতির ওপরে ঋণ হিসাব বেড়েছে ২৪৮২টি। প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ কোটির বেশি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৮১ হাজার ৩৪৪টি হিসাবে জমা ছিল ১ লাখ ৬৮ কোটি টাকা। ৫ কোটির বেশি থেকে ১০ কোটি পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৮৭টি হিসাবে জমা ছিল ৮১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ১০ কোটির বেশি থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৬৫টি হিসাবে জমা ছিল ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ১৫ কোটির বেশি থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭১টি হিসাবে জমা ছিল ৩১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।
২০ কোটির বেশি থেকে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৫টি হিসাবে জমা ছিল ২৬ হাজার কোটি টাকা। ২৫ কোটির বেশি থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ৮৮৬টি হিসাবে জমা ছিল ২৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। ৩০ কোটির বেশি থেকে ৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৪৫৮টি হিসাবে জমা ছিল ১৪ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। ৩৫ কোটির বেশি থেকে ৪০ কোটি টাকা পর্যন্ত ২৯০টি হিসাবে জমা ছিল ১০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ৪০ কোটির বেশি থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ৬৪৪টি হিমাবে জমা ছিল ২৯ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। ৫০ কোটি টাকার বেশি ১ হাজার ৬৯৭টি হিসাবে জমা ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।