1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২
  • ১৮৫ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: পদ্মা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি বাঙালি জাতির গর্ব, মর্যাদা, সক্ষমতা ও সাহসের প্রতীক। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের উক্তি ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না’-এর সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি এও বলেছেন, ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি।’

আজ শনিবার বহুল প্রতীক্ষিত সেতুটি উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার আগে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

নিজের বাবার করা উচ্চারণের সুরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৪২টি স্তম্ভ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু আমাদের বলেছিলেন, কেউ দাবায় রাখতে পারবা না, কেউ দাবায় রাখতে পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।’

পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হলেও নানা ঘটনাপ্রবাহের কারণে পরে নিজস্ব অর্থে সেতু নির্মাণ করে সরকার। শুরুতে কেবল সড়ক সেতু নির্মাণের চিন্তা থাকলেও পরে তাকে যুক্ত করা হয়েছে রেল। আর এক তলার বদলে নির্মিত হয়েছে দ্বিতল সেতু। পুরোটা কংক্রিটের বদলে নির্মিত হয়েছে স্টিল স্ট্রাকচারড সেতু।

এই প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যায় পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তুলে। শুরু থেকেই সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে চক্রান্ত আখ্যা দিয়ে আসছিল।

বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ ছিল, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এস এন সি লাভালিন এই পরামর্শকের কাজ পেতে ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করছে। পরে কানাডায় এই বিষয়টি নিয়ে এস এন সি লাভালিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৭ সালে দেশটির একটি আদালত এই মামলা নাকচ করে বলেছে, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ ‘বায়বীয়’, ‘গালগপ্প’।

প্রধানমন্ত্রী নানা সময় বলে এসেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহম্মদ ইউনূসকে তার পদ ছাড়তে হওয়ায় তিনি ও তার বলয়ে থাকা ব্যক্তিরা বিশ্বব্যাংককে দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন। ড. ইউনুসের সঙ্গে সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এবং হিলারি নিজেও চাপ দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে উঠেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ গর্বিত, আমিও আনন্দিত ও গর্বিত। অনেক বাধা, ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আজ আমরা এই সেতু নির্মাণ করতে পেড়েছি।’

পদ্মা সেতু নিয়ে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে’ সেতু নির্মাণের কাজ দুই বছর বিলম্বিত হওয়ার কথাও বলেন তিনি। তবে এ নিয়ে হতাশ নন, বরং এর মধ্য দিয়ে দেশের শক্তিমত্তার প্রমাণ মিলেছে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘সবাই জানেন, এই সেতু যখন নির্মাণ করতে যাই, অনেক ষড়যন্ত্র হয়। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একেকটি পরিবার ও মানুষকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়া হয়। শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রাদওয়ান সিদ্দকীসহ প্রত্যকেটি পরিবারকে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়। সে সময় আমার উপদেষ্টা মশিউর রহমান, সৈয়দ আবুল হোসেন, সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া সহ যারা ছিলো তাদের মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়। তাদের পরিবার যে যন্ত্রণা ভোগ করেছে আমি সহমর্মিতা জানাই।’

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..