1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

আওয়ামী লীগ সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে থাকে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ মে, ২০২১
  • ২৩৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে থাকে। আমরা (আওয়ামী লীগ) কিন্তু জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। আমরা সব সময় চিন্তা করি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াব। মানুষকে সহযোগিতা করব। আওয়ামী লীগ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কিন্তু কাজ করে যাচ্ছে।

আজ রবিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব করেন।

তিনি বলেন, সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে। ধান কাটার সমস্যা। আমি বলার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ মানুষের ধান কেটে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কিন্তু জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। আমরা সব সময় চিন্তা করি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। মানুষকে সহযোগিতা করবো। আওয়ামী লীগ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কাজ করে যাচ্ছে। শুধু সরকারে এসেই নয় দল হিসেবেও আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে।’

এ প্রসঙ্গে দলটির সভাপতি হিসেবে তিনি রংপুরের মঙ্গা, দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসসহ অন্যান্য দুর্যোগে নিজে গিয়ে দুর্দশা পর্যবেক্ষণ এবং সাধ্য মতো সহায়তার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে। করোনায় শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটার সমস্যা দেখা দেয়ায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ এবার মানুষের ধান কেটে দিয়েছে।

তিনি বলেন, টআওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায়। আামদের সবার চেষ্টা কীভাবে আমরা দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবো এবং সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ছোট ভূখণ্ডে আমাদের অধিক জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যাকে একদিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া। অপরদিকে তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করা, তাদের জীবনকে সচল রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং সেকারণেই আমরা এই অসহায় বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।‘

১৯৭২ সালে ২০ ফ্রেবুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ভাষণে বলেছিলেন- আমাদের এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যে সমাজে কৃষকরা… ক্ষুধার্ত জনগণ আবার হাসতে পারবে। জাতির পিতা যেভাবে কাজ করতেন, আমরা সেটাই অনুসরণ করেছি। আমরা সবসময় এটাই চাই মানুষকে কীভাবে সহযোগিতা করবো। মানুষের পাশে দাঁড়াবো। আপনারা দেখেছেন ধান কাটার অসুবিধা, আমরা ছাত্রলীগকে বলার সঙ্গে সঙ্গে নেমে গেছে। কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ প্রত্যেকেই কিন্তু এই করোনা মহামারিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আর অন্যান্য কয়েকটা রাজনৈতিক দল। আমরাও তো বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা বিরোধী দলে থাকতে সবসময় দুর্যোগ দুর্বিপাকে সবার আগে ছুটে যেতাম মানুষের পাশে। এটাই বিরোধী দলের কাজ। কিন্তু আজকে যারা নিজেদেরকে বিরোধী দল বা প্রতিদিন সরকার উৎখাতের জন্য বক্ততা-বিবৃতি আন্দোলনের নামে পোড়াও-জ্বালাও করে যাচ্ছে। দুর্যোগে মানুষের পাশে কোথায় তারা? কয়টা দুর্গত মানুষের মুখে তারা খাবার তুলে দিয়েছে? কয়টা মানুষের পাশে তারা দাঁড়িয়েছে? কয়টা মরা মানুষের কাফনের কাপড় কিনে দিয়েছে। কেউ নেই?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একটা মাত্র টেলিভিশন ছিল। বেসরকারি খাতে প্রচুর টেলিভিশন রেডিও করে দিয়েছি। কয়েকটি মাত্র পত্রিকা ছিল, বেসরকারি খাতে অনেক পত্রিকা হয়ে গেছে। এখন বিরোধী দলগুলো ঘরে বসে বিবৃতিই দিয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছে। যখন তাদের বুদ্ধি খোলে এবং পরামর্শ দেয় তার আগেই কিন্তু আমাদের সরকার আওয়ামী লীগ এব্যাপারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে নেন। গরিবের কী দিতে হবে, মানুষের জন্য কী করতে হবে? করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে হবে কিনা বা মানুষকে কিভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে হবে; এই সব কাজ যখন আমরা গুছিয়ে-টুছিয়ে নিয়ে আসি বা বাজেট আমাদের কীভাবে করবো, বাজেটের কোনও কোন খাতের ওপর আমরা বেশি গুরুত্ব দেব, এগুলো যখন আমাদের করা শেষ হয়ে যায়? তখন তাদের বুদ্ধির দুয়ারটা খোলে এবং তারা আমাদের যে কাজগুলো সেগুলি আবার তারা আমাদেরকে পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন জনগণের কল্যাণের জন্য। এই কথাটা কখনো আমরা ভুলি না এবং সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষ যদি কিছু পেয়ে থাকে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই পেয়েছে। এই দেশটাকে কিভাবে উন্নত করতে হবে, এটা আওয়ামী লীগ জানে এবং আওয়ামী লীগ তা করে যাচ্ছে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এই আওয়ামী লীগই করেছে এবং স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমাদের দায়িত্ববোধ আছে, দায়বোধ আছে। আর আমাদের রাজনৈতিক ফিলোসপিটাও তাই। মানুষের কল্যাণে কাজ করা এবং সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।

করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা ও ভ্যানচালক, মোটরশ্রমিকসহ কর্মহীন বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছে যাবে এসব পরিবারের কাছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর করোনা মহামারির কারণে যেসব নিম্নআয়ের লোকজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং কর্মহীন হয়ে পড়েছিল তাদের সহায়তার জন্য ‘নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ নিম্নআয়ের পরিবারকে পরিবারপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৮৮০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..