সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : এক সপ্তাহ ধরে থাকা বন্যার ধকল সামলে উঠতে না উঠতে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সব কটি নদনদীর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত ১২ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তাসহ সব কটি নদনদীর পানি। ফলে এসব নদনদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে আবারও বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার ঝুঁকি থাকলেও অন্যান্য নদ-নদী অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা অববাহিকা বন্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
তবে বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন। তিস্তার পানি বৃদ্ধির হার জেলার অন্যান্য নদনদীর পানি বৃদ্ধির তুলনায় অনেকটাই ধীর। সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে এই নদী বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ১২ ঘণ্টায় এই নদীর পানি প্রবাহ সমতলে মাত্র ২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
পাউবো জানায়, বুধবার (২৯ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ১২ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে ধরলা নদীর পানি জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার যথাক্রমে ৮৭ ও ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সমানতালে বাড়ছে দুধকুমার নদের পানি।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তা অববাহিকায় বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। সদরের সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি কিংবা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এসব নদনদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।