বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন
শেখ রিয়াদ ইসলাম স্বপ্ন: লকডাউনের কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল মৌলভীবাজার ছোট বড় শপিংমলগুলো। সামনে ঈদ হওয়ায় দোকান খোলার ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা যেমন প্রতীক্ষায় ছিলেন, সঙ্গে ক্রেতারাও মুখিয়ে ছিলেন কেনাকাটার জন্য। গতকাল রবিবার মৌলভীবাজার জেলা শহরের বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেট সরজমিনে ঘুরে দেখা গেলো, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও তাড়না নেই। করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে কেনাকাটায় মহাব্যস্ত ক্রেতারা। এক শপিংমল থেকে শহরের গড়ে উটা অন্য শপিংমলে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাদের পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে। করোনা মহামারিতে প্রতিদিন মৃত্যু, বাড়ছে সংক্রমণও সংখ্যা লেগেই আছে। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ জারির পরও জনসাধারণের মধ্যে যেন নেই কোনও ধরনের করোনা ভীতি। এই সংকটময় সময়ে ও নিশ্চিন্তে ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা।
শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড়শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড়: মৌলভীবাজার এম সাইফুর রাহমান রোডের বাসিন্দা সরকারি চাকরিজীবী আজিজ বেরিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে, এর মধ্যে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পাশের দেশ ভারতে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। এসব দেখেও আমরা সচেতন হচ্ছি না। আমরা ঈদে নতুন কাপড় কিনতে মার্কেট ও শপিংমলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ আনন্দের জামা কাপর ক্রয়ের জন্য ছুটছি। খুবই দুঃখজনক। ধরকাপনের বাসিন্দা রাইসা নিজে ও অন্যদের জন্য নতুন কাপড় কিনতে। বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘অনেকেই তো বের হচ্ছেন। তাইতো আমরাও বের হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হয়েছি। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবো। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড়: রবিবার শপিংমল ও মার্কেট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কিংবা দোকানের ভেতরে মনে হচ্ছে না দেশে মহামারী করোনার জন্য সরকার স্বাস্থ্যবিধিনিষেধ দিয়েয়েছেন। এমনকি অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। অনেকে শপিংমল গুলোতে ঘুরতে বেরিয়েছেন। দেখছেন নতুন কী কী কাপড় চোপড় কিংবা জিনিসপত্র এসেছে। এতে করেও লোকজনদের ভিড় বাড়ছে।
জেলার সবচেয়ে বড় দুটি ক্লথ স্টোর এমবি,বিলাস সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার হওয়ায় ক্রেতাদের অনেক চাপ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক নারী ও তরুণীরা বলেন, ‘কেনাকাটা করতে এসেছি, দেখছি ঘুরছি। কোথায় কী নতুন জিনিস এসেছে, আগে দেখবো। আমি আবার টায়ার্ড না হলে কেনাকাটা করি না।
একাদিক দোকানের বিক্রেতারা বলছেন,আজ ভিড় বেশি। কিন্তু বেচা বিক্রি অনেক কম। যে পরিমাণ জনসমাগম রয়েছে সবাই যদি একটি করে জিনিসও কিনতেন তাহলে আমাদের দোকানের জিনিসপত্র অনেক কমে যেত। কেনাকাটা হচ্ছে কম,সবাই জিনিসপত্র দেখছেন।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে,ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে বিভিন্ন দোকানগুলোতে। বিক্রেতারাও নিজেদের জিনিসপত্র ক্রেতাদের দেখাচ্ছেন।সেলোয়ার কামিজ থেকে শাড়ির দোকান,জুতো কিংবা কসমেটিকসের দোকানগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের ভিড়। তবে অনেকেই এসেছেন নতুন কী জিনিস এসেছে তা দেখতে। অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয় শপিংমলের মালিক কিংবা ব্যবসায়ীদের কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি।