শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা এখান থেকেই শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তাদের থেকে শুরু করে কোচ-খেলোয়াড়রা। কিন্তু দলের বোলার, ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স দেখে বুঝার উপায় নেই, এই দলটিই কয়েক মাস পর বিশ্বকাপ খেলবে।
দলের ব্যাটসম্যানরা যেন ব্যাট হাতে রান করতেই ভুলে গেছেন। ফরম্যাট বদলাচ্ছে, পোশাক বদলাচ্ছে- তবুও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। ডমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রভম্যান পাওয়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোর বোর্ডে ১৯৩ রানের পাহাড় জমা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৫৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি সফরকারীরা। এতে ৩৫ রানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।
১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলকে কখনোই মনে হয়নি এই রান টপকিয়ে ম্যাচ জিততে পারার আত্মবিশ্বাস আছে। বরং জয়-পরাজয় ভুলে ২০ ওভার ব্যাট করতে পারাটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদের।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ওপেনাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই ওপেনার ওবেড ম্যাকয়ের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে শামার ব্রুক্সের হাতে ক্যাচ দেন। পরের বলেই এনামুল হক বিজয় বোল্ড হয়ে ফেরেন।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি ৭ বলে ১১ রান করে ওদেন স্মিথের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে মিড অফে ম্যাকয়ের হাতে ক্যাচ দেন। বেশ কিছুদিন ধরেই এই ফরম্যাটে রান খরায় ভুগছেন টি-টোয়েন্টি কাপ্তান। তার ব্যাট থেকে সর্বশেষ ৯ ইনিংসে এসেছে মাত্র ১০০ রান। এর মধ্যে তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ২১ রানের।
দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের হাল ধরেন সাকিব ও আফিফ। আশার বাতী জ্বালানো এই জুটি থামান রোমারিও শেফার্ড। এই ক্যারিবীয় পেসারের বলে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে আউট হন আফিফ।
এরপর সাকিব একপ্রান্ত আগলে রাখলেও তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার আকিল হোসেইনের বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন। এরপর আরেক অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান সাকিব।
শেষ ওভারে মোসাদ্দেক অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে শেফার্ডের বলে উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরানকে ক্যাচ দেন। ফলে তার ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৫ রানে।
অন্যদের আসা যাওয়ার মাঝে সাকিব শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫২ বলে ৬৮ রান করে। এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মেইল ফলক ছুঁয়েছেন এই টাইগার ব্যাটার। ৩৫ রানের হারে সাকিবের মাইলফলটা স্মরণীয় করতে পারেনি লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মারমুখি ছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। তারা নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে ১৯৩ রান। পাওয়েলে খেলেন ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস। এছাড়া কিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৯৩/৫ (২০ ওভার) (কিং ৫৭, পুরান ৩৪, পাওয়েল ৬১*; শরিফুল ২/৪০ সাকিব ১/৩৮, মেহেদী ১/৩১)
বাংলাদেশ- ১৫৮/৬ (২০ ওভার) (সাকিব ৬৮*, আফিফ ৩৪, সোহান ৭, মোসাদ্দেক ১৫; শেফার্ড ২/২৮, ম্যাকয় ২/৩৭)