রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: অভাবী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বাড়ী বাড়ী গিয়ে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে ’বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থা” মৌলভীবাজার এর সদস্যরা।
৪ জুলাই সোমবার সকাল থেকে আপার কাগাবলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মানুষের ঘরে ঘরে এ ফুড প্যাক বিতরণ এর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি সাকিবুর রহমান মেরাজ ও সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেনের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মো: জাকারিয়া, সহ উন্নয়ন সম্পাদক আব্দুস সামাদ, দপ্তর সম্পাদক আলরাজ রহমান,সহ দপ্তর সম্পাদক সাগর মিয়া, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সুলাইমান,সহ ক্রীড়া সম্পাদক জিহাদ হাসান জুসেফ, সদস্য আইবুর রহমান, তামজিদ আহমদ, রাহিম মিয়া সহ প্রমুখ।
সংস্থার সভাপতি সাকিবুর রহমান মেরাজ বলেন ‘এমন অনেক অসহায় মানুষ আছে যারা মুখে ফুটে কাউকে বলতে পারেন না। কারো ঘরে আয় রোজগার করার মতো মানুষ নেই। সরকারি ত্রাণের লাইনে গিয়েও যারা দাঁড়াতে পারেন না, আমরা তাৎক্ষণিক তাদের তালিকা করে ঘরে ঘরে ফুড প্যাকটি পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছি। যার মধ্য রয়েছে চাল,ডাল,আলু, লবণ, মুড়ি, সাবান, বিস্কুট, মোমবাতি, খাবার স্যালাইন ও বাচ্চাদের খাদ্য সামগ্রী।
তিনি আরো বলেন সংস্থার সদস্য শুভান্যুধায়ীদের সহযোগিতায় প্রতিবারের মত এবার ও আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কাগাবলা ইউনিয়নের প্রায় দুইশত পঞ্চাশ পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরণের জন্য কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান ইতিমধ্য বিগত (২৭ জুন) সোমবারে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ও খলিলপুর ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকায় কখনো নৌকায় আবার কখনো পায়ে হেঁটে ঘরে ঘরে গিয়ে দুই শতাদিক পরিবারের ঘওে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে বন্ধনের সদস্যরা।
বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থা গঠন করা হয়। শুরুতে সংস্থার সভাপতি সাকিবুর রহমান মেরাজ ভেবেছিলেন কী করে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের সহযোগিতা করা যায়। এ নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সবাই তাঁকে এসব কাজে উৎসাহিত করেন।
ধীরে ধীরে বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থা বিভিন্নভাবে দরিদ্র পরিবারকে নানা উপায়ে সহায়তা দেওয়া শুরু করে। তাঁরা দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। টাকার অভাবে যাঁরা চিকিৎসা করাতে পারেন না, তাঁদের সহায়তা দেন। পর্যায়ক্রমে সংস্থার সদস্যরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করাসহ সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেন। সড়কের পাশে বৃক্ষরোপণও করেন তাঁরা।