1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

হাকালুকিতে ভাসছে মৃত গবাদিপশু, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২
  • ২৩৯ বার পঠিত

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর তীরে বন্যার পানিতে ভাসছে মৃত গবাদি পশু। বন্যার পানিতে মৃত গবাদিপশু পঁচে গলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে। ফলে পানি ও বাতাসের দূষিত গন্ধে চলমান এই দূর্ভোগকে দূর্বিষহ করে তুলেছে হাওর তীরের বানভাসি মানুষকে।

সরেজমিনে কুলাউড়া উপজেলার রঙ্গীরকুল ও রামপাশা এলাকার ধলিয়া বিলে এবং ভূকশিমইল ইউনিয়নের মদনগৌরী এলাকায় হাওরে মরা গবাদি পশু ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, পানিতে আটকে তীব্র খাদ্য সংকটের কারণেই মারা যাচ্ছে গবাদি পশু। একমাত্র কচুরিপানা আর কিছু নেই গো-খাদ্য। কচুরিপানা অধিক খেলে গরুর পাতলা পায়খানা হয়ে।
দীর্ঘদিন খাওয়ানোর ফলে গরু দুর্বল হয়ে মারা যায়। মহিষ, গরু, ছাগল এবং পোলট্রি মোরগে ব্যাপক মোড়ক লেগেছে। মারা যাওয়া এসব গবাদি পশু মাটিতে পুঁতার মতো শুকনো জায়গা না থাকায় মানুষ ভাসিয়ে দিচ্ছে বন্যার পানিতে। এতে পানি ও বাতাস দুটোই দূষিত হয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। দুর্গন্ধ এবং অনেকটা কালো রং ধারণ করেছে বন্যার পানি। এই পানিতে কোন কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পানিবাহিত রোগ চর্মরোগ এবং ডায়রিয়া প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে এসব রোগে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মিঠুন সরকার বলেন, বন্যায় কোন গবাদি পশু মারা গেছে এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি আমরা। বন্যা দূর্গত এলাকায় আমাদের তিনটি মেডিকেল প্রাণীসম্পদ সেবা দিচ্ছে। চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২টি গবাদি পশুর খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ২টি পোল্ট্রি খামারের ১২শ’ ৭৫টি মোরগ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বন্যায় প্রাণী সম্পদের ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান আছে, বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চূড়ান্ত ভাবে জানা যাবে। তিনি আরো বলেন, মারা যাওয়া গবাদিপশু ও হাঁস মোরগ পানিতে না ভাসিয়ে কষ্ট করে হলেও মাটিতে পুঁতে ফেলার জন্য আমরা সবাইকে সচেতন করছি। নয়তো এর কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে পরিবেশে দূষিত হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফেরদৌস আক্তার বলেন, গৃহস্থালীর কোন কাজে বন্যার পানি বা বন্যায় প্লাবিত পুকুরের পানি কোন অবস্থাতেই ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া যারা বন্যার পানিতে হাটা চলা করেন তারা সাথে সাথে টিউবওয়েলের পানি বা বিশুদ্ধ পানি ও সাবান দিয়ে হাত পা ধুয়ে নিতে হবে। নতুবা চর্মরোগ, ডায়রিয়া, পেটব্যথা সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..