শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী রুপ নিয়েছে। গত ১৮ জুন থেকে ২০ দিন ধরে পানি বন্দি আছেন বড়লেখা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাজার পানিতে তলিয়ে থাকায় আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে পারছেন না অনেকে। প্রায় একইরকম অবস্থা বিরাজ করছে জেলার কুলাউড়া ও জুড়ি উপজেলায়ও।
এদিকে পানিবন্দি থাকাবস্থায়ই এবারের ঈদ উদযাপন করতে হবে বড়লেখা উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে। এ অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী গত তিন দিন ধরে দূর্গত এলাকায় ছুটে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তুলে দিচ্ছেন ঈদ সামগ্রী। তার এই খাদ্য সামগ্রী থেকে বাদ যাচ্ছেননা, শারিরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধি, বড়লেখার ঐতিহ্যবাহি শীতল পাঠি শিল্পী ও পানিতে তলিয়ে থাকা দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।
তিনি সরজমিন ঘুরে ঘুরে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। তিনি জানান, ঈদ আসন্ন, কেউ পানিতেও যাতে একটু ঈদের আনন্দ থাকে তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ ত্রাণ ও ঈদ উপহার নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, তার উপজেলায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী রুপ নিয়েছে। এখনো ৫০ হাজারেরও অধিক মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি যেতে পারছেন না অনেকে। কারো কারো বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। তিনি জানান, মেরামত করে যাবেন। মৌলভীবাজার- ১ আসনের এমপি বন ও পরিবেশ মন্ত্রী এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিনি সরজমিন পরিদর্শন মানুষকে সাহায্য পৌছে দিচ্ছেন। একই সাথে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজও শুরু করা হয়েছে। যে সব এলাকায় পানি কমেছে এখন সে সব এলাকায় তা করা হচ্ছে।
এদিকে কুলাউড়া, জুড়ি ও রাজনগরে পানিতে তলিয়ে আছেন আরো প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এসব এলাকায়ও সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বন্যার্তদের মধ্যে তুলে দেয়া হচ্ছে ঈদ সামগ্রী।