1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

প্রতিদিন ডিম খেলে ক্ষতি হয়!

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২
  • ৩৪৭ বার পঠিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের মধ্যে একটা ধারণা আছে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, হৃগরোগ থাকলে ডিম যাবে না। ডিমে কি পরিমাণ ক্যালরি আছে। বা কেন খাওয়া যাবে না এসব নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। এসব ধারণা আসলে কতটুকু সত্য? আসুন জেনেনি

সত্যি বলতে ডিমে অতটা ক্যালরি নেই। বরং ডিম থেকে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। একটি বড় সেদ্ধ ডিমে আছে ৭o ক্যালরি মান পুষ্টি। ৬ গ্রাম উচ্চ মানের প্রোটিন আছে। তাই রক্তে শর্করা বাড়ার প্রশ্ন আসে না। ডিমের সাদা অংশটুকু উচ্চ মানের জৈব আমিষ, আর কুসুমে স্নেহ পদার্থ, লৌহ ও ভিটামিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে। সব বয়সের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিম অত্যন্ত কার্যকর। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় গড়নে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। কেননা ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। আবার কুসুমে আছে ভিটামিন ডি, যা হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

প্রতিদিন ডিম খাওয়া যাবে কি যাবে না—এ নিয়ে অনেকের বিভ্রান্তি রয়েছে। বাড়ন্ত বয়সে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়াই উচিত। এর প্রোটিন বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের জন্য জরুরি। ডিমে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি, ফোলেট, জিঙ্ক, আয়রন ও সেলেনিয়াম। সকালের নাশতায় শিশুকে ডিম দেওয়া যায়। অনেক শিশু এমনিতে ডিম খেতে না চাইলে দিতে পারেন ডিমের তৈরি নানা নাশতা।

তরুণেরা এবং যারা বেশি কায়িক পরিশ্রম করেন বা খেলাধুলা করেন, তাঁরাও নিয়মিত ডিম খেতে পারেন, এমনকি দিনে দুই থেকে তিনটি ডিম খেতেও বাধা নেই। যাঁরা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য ডিম তেল দিয়ে পোচ না করে সেদ্ধ খাওয়া উচিত। যাঁদের বয়স একটু বেশি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক বা হৃদরোগী অথবা যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বির পরিমাণ বেশি, তারা শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। মাঝেমধ্যে কুসুমসহ।

মনে রাখবেন, সকালের নাশতায় একটি ডিম কোলেস্টেরল প্রোফাইলের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না, যতটা প্রভাব ফেলে আপনার সকালের নাশতায় মিষ্টি বা চর্বিজাতীয় খাবার। গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া খুব জরুরি। যকৃৎ রোগীদের অনেক সময় রক্তে অ্যালবুমিনের পরিমাণ কম থাকলে দৈনিক চারটা ডিমের সাদা অংশ খেতে বলা হয়।

এখন ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম পাওয়া যাচ্ছে, যা হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ফার্মের ডিমের তুলনায় দেশি মুরগির ডিমে ওমেগা–৩ বেশি।

অনেকে হাঁস বা মুরগির ডিম খাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। হাঁসের ডিমে প্রোটিন এবং চর্বির মাত্রা সামান্য বেশি। কাঁচা ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে সালমোনেলা–জাতীয় ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে। ডিম যেভাবেই রান্না হোক না কেন, এর পুষ্টিগুণ প্রায় অবিকৃত থাকে। তবে তেল দিয়ে ডিম ভাজি বা ডিম পোচ অযথা ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..