বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন
চৌধুরী ভাস্কর হোম :: অর্থ বছরের প্রথম চা নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে ‘রোজ টি’। এই নিলামে রোজ টি প্রতি কেজি ৩ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করে আবারও সর্বোচ্চ দামি চা বিক্রির রেকর্ড করে হবিগঞ্জের বৃন্দাবন চা বাগান। বুধবার শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় চা নিলাম কের্ন্দের অর্থ বছরের প্রথম চা নিলাম সম্পন্ন হয়।
নিলামে সর্বোচ্চ দাম ওঠা ‘রোজ টি’ চা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টি প্ল্যান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক জহর তরফদার। শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকারস এর পরিচালক হেলাল আহমদ জানান, দেশের বিভিন্ন চা বাগান থেকে ৭০ হাজার কেজি চা পাতা এ নিলামে তোলা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার কেজি চা প্রথম নিলামের শুরুতেই বিক্রি হয়েছে। বিক্রি করা চায়ের বাজার মূল্য প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। চা ক্রেতাদের চাহিদা ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার এবছর করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা বিলম্বে শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম পক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত নিলামে দেশের নানা প্রান্ত থেকে চা পাতার ক্রেতা ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তবে এবারের নিলামে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল হবিগঞ্জের বৃন্দাবনপুর চা বাগানের ‘রোজ টি’। যা প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৩ হাজার টাকায়। আর এসব পাতা কেনেন শ্রীমঙ্গলের সেলিম টি হাউজ। এর আগের নিলামেও বৃন্দাবনপুর চা বাগানের হোয়াইট টি চা সর্বোচ্চ মূল্যে প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৫ হাজার ১০ টাকায়।
‘টি ট্রেডার্স অ্যান্ড প্ল্যান্টারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ’-এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত চা নিলামে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক বায়ার ও ব্রোকার হাউজ অংশ নেয়। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে প্রতি নিলামে চা পাতা উত্তোলন ও বিক্রি বৃদ্ধি হওয়ার আশাবাদী চা সংশ্লিষ্টরা।
দেশের ১৬৭ চা বাগানের মধ্যে শুধূ মৌলভীবাজারেই রয়েছে ৯২টি চা বাগান। এ অঞ্চলের উৎপাদিত চা দুবছর আগেও চট্রগ্রামের নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে বিক্রি করতে হতো। ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
করোনাভাইরাসের বন্ধের মধ্যেও দেশের বিভিন্ন বাগানে চা উৎপাদন চালু রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে পরিমিত বৃষ্টি ও আদ্রতা অনুকুলে থাকায় মৌলভীবাজারে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবছর লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।