শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
আফ্রিকায় দ্বিতীয় দফায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থতি আরও মারাত্মক হয়েছে। কিন্তু প্রথম দফার তুলনায় দ্বিতীয় দফায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন কম হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
দ্য লানচেট মেডিকেল জার্নালের গবেষকরা বলছেন, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পদক্ষেপ যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় এবং মাঝে মাঝে লকডাউন দেয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে দ্বিতীয় দফায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে পারে।
গবেষকরা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আফ্রিকান ইউনিয়নের ৫৫ সদস্য রাষ্ট্রে সংক্রমণ, মৃত্যু, পরীক্ষা ও সুস্থ হওয়া নিয়ে গবেষণা চালান। এ ছাড়া তারা স্কুল বন্ধসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপগুলো নিয়েও গবেষণা করেন।
আফ্রিকায় ২০২০ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত প্রায় ২৮ লাখ লোক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে যা বিশ্ব সংক্রমণের ৩ শতাংশ। মারা গেছে ৬৫ হাজারেরও বেশি লোক।
প্রথম দফায় প্রতিদিন করোনায় সংক্রমিত হতো ১৮ হাজার ২৭৩ জন করে। দ্বিতীয় দফায় সে সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৭৯০ জন করে যা ৩০ শতাংশ বেশি।
ইউনিয়নভুক্ত যে ৩৮টি দেশ দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের ঘোষণা দিয়েছে সেসব দেশে প্রথম দফার তুলনায় পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ অনেক কম বলে গবেষকরা বলছেন।
তারা বলছেন, দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে করোনার নতুন ধরন ভূমিকা রাখছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আফ্রিকার সিডিসির পরিচালক, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং গবেষণাপত্রের লেখক জন কেংগাসং বলেন, গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য থেকে করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানো ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উঠে এসেছে।