সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিবেশী ভারতের মতো করোনা বিপর্যয়ের মুখে নেপাল। সংকট মোকাবিলায় চলতি সপ্তাহে দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নেপালে নতুন করে আট হাজার ৯৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের হিসেবে দেশটিতে এটি রেকর্ড। এর আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আট হাজার ৬০৫ জন। বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫৪ জন। বুধবারও মৃতের সংখ্যা ৫০ এর বেশি ছিল।
রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমাঞ্চলে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেড়েছে। এই এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার ৪৭ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে একদিকে দেখা দিয়েছে টিকার সংকট অন্যদিকে হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্ম ওলি। চলতি সপ্তাহে তিনি টিকার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন। টিকাদান কর্মসূচিতে সরকারের বিশৃঙ্খলার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে নাগরিকদের। এভাবে আরও ভাইরাস বিস্তার ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফেডারেশন অব রেড ক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক আলেক্সান্ডার ম্যাথিউ বলেছেন, ‘আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই মানব বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। নেপাল রেড ক্রসের চেয়ারম্যান নেত্র প্রসাদ বলেছেন, ‘আমরা যদি মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই কোভিডের বিস্তার ঠেকাতে না পারি, তাহলে এই মুহুর্তে ভারতে যা ঘটছে তা হলো নেপালের ভবিষ্যতের ভয়াবহ চিত্র।তিনি বলেন, ভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের কারণে কাঠমান্ডুতে অনেক মানুষ এখন বাড়িতে অবস্থান করছে। একই সময় হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলো মানুষের দীর্ঘ লাইন। প্রধান শহরগুলোতে লকডাউনের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ওষুধ সরবরাহে প্রভাব পড়েছে।