শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : ‘ঐতিহ্যগত বিদ্যা সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারী সমাজের ভূমিকা’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বড়লেখা আদিবাসী উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও প্রথাগত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বড়লেখা আদিবাসী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নারায়ণ কুর্মীর সভাপতিত্বে রিপন কুর্মী ও প্রিয়া চনুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বড়লেখা আদিবাসী উন্নয়ন ফোরামের সহ সভাপতি মাধবপুঞ্জির মন্ত্রী ওয়ানবর এলগিরি।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান শিপলু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাসনা, এপিপি এডভোকেট সুবিমল লিন্ডকিরি, বড়লেখা ডিমাই মিশনের পাল পুরোহিত ফাদার কাজল গমেজ (ওএমআই), প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রব, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রিয় সহ সাধারণ সম্পাদক কবি মো. শহীদু-উল ইসলাম প্রিন্স, বড়লেখা নজরুল একাডেমির উপদেষ্টা জুনেদ রায়হান রিপন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উপজেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক বদরুল ইসলাম মনু, ইউপি সদস্য সমিরন মুন্ডা, খাসি স্টুডেন্ট সইউনিয়ন (কেএসইউ) সিলেট শাখার সাবেক সভাপতি লাভিংসন পঃস্না প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে আদিবাসীরা নানাভাবে শোষণ, নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। তাদের ভূমি ও সমাধিক্ষেত্র দখল করে নিয়েছে ভূমি দস্যুরা। তাদের কাছে সবচেয়ে অমর্যাদাকর বিষয় হচ্ছে আদিবাসী হিসেবে তাদের স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে সংগঠনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবিসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। ছয় দফাসহ দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আদিবাসী শব্দ ব্যবহার না করার সরকারি নির্দেশনা প্রত্যাহার, আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, সমতলের আদিবাসীদের পক্ষ হতে সংসদে প্রতিনিধি নিশ্চিত করা, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালে নির্বাচনীয় ইশতিহারে আদিবাসীদের ভূমি নিশ্চিতকরণ ঘোষণা বাস্তবায়ন, সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের কোটা পূর্ণ বহাল রাখা, উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ বন্ধ করা, আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের অধিকার নিশ্চিত করা।