শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক: মে মাসের তীব্র গরমে চলছে রোজা। এসময়ে সারাদিন রোজা রেখে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, শরীর হয়ে পরে ক্লান্ত ও দুর্বল। এছাড়াও রমজান মাসে স্বাভাবিক খদ্যাভাস ও খাবারের রুটিন, ঘুম সবকিছুতেই পরিবর্তিন আসে। ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, রক্তচাপ পরিবর্তন আসতে পারে। এসবের ফলে মাঝেমধ্যেই শুরু হয়ে যায় মাথাব্যাথা। বিশেষ করে ইফতারের পর মাথাব্যাথার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
আসুন জেনে নিই রোজা রেখে মাথাব্যাথা কমাতে বা মাথাব্যাথা যাতে না হয় সেজন্য চিকিৎসকরা কি পরামর্শ দেন-
১) ভোরে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু হয়। সুতরাং সেহরির খাবারের বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সেহেরির খাবার না খেয়েই রোজা রাখেন। কিন্তু সকালে পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার না খেলে সারাদিনের না খাওয়ায় দেখা দিতে পারে ক্যালরির ঘাটতি। এতে শুরু হয়ে যায় মাথাব্যাথা। তাই সেহরিতে সবসময় পুষ্টিকর খাবার খেতে চেষ্টা করবেন, যাতে শরীর সারাদিন পর্যাপ্ত এনার্জি পায়।
২) ইফতারে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এডিয়ে যেতে হবে। সারাদিনের রোজা শেষে এই ধরণের তেলে ভাজা খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হয়। আর গ্যাস্ট্রিক থেকে মাথাব্যাথা শুরু হয়। তাই ইফতারে যতটা সম্ভব রসালো ফল বা পর্যাপ্ত পানি পানের চেষ্টা করুন এতে পানিশূণ্যতা যেমন দূর হবে, তেমনি গ্যাস্ট্রিকের সম্ভাবনাও থাকবে না।
৩) প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন। কিন্তু রমজান মাসে দেখা যায় ঘুমের রুটিন পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও পরিমিত ঘুমনোর চেষ্টা করবেন।
৪) রোজা রেখে অতিরিক্ত খাটুনির কাজ বা রোদে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর দুর্বল ও পানিশণ্য হয়ে শুরু হবে মাথাব্যাথা।
৫) ইফতারের পরেই অনেকে চা বা কফি খান মাথাব্যাথা কমাতে বা শরীর চাঙ্গা রাখতে। তবে মনে রাখবেন এতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। সারাদিন না খেয়ে থেকে চা বা কফি খেলেও শরীর পানিশূণ্য হয়ে পরে।