1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মিয়ানমার সেনার ঘাঁটি দখল করল কারেন বিদ্রোহীরা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৮ মে, ২০২১
  • ২৪৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন। এবার বার্মিজ সেনার আরও একটি ঘাঁটি দখল করল কারেন বিদ্রোহীরা।

জানা গেছে, শুক্রবার মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে সালউইন নদীর কাছে টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহী সংগঠন ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’-এর সামরিক শাখা ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’। কয়েক রাউন্ড গুলি চলার পর প্রায় বিনাযুদ্ধে সেনা শিবিরটি দখল করে সংখ্যালঘু কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সংগঠনটি। এই ঘটনার দিন দশেক আগেই প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি বাহিনীর আরও একটি ঘাঁটি দখল করে জ্বালিয়ে দেয় কারেন বিদ্রোহীরা। ফলে রীতিমতো চাপে পড়েছে সামরিক জান্তা।

মায়ানমারের কারেন প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই স্বশাসনের দাবি জোরাল হচ্ছে। গততান্ত্রিক পদ্ধতিতে আং সান সু কি’র সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলোচনার টেবিলে এসেছিল সংগঠনটি। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থাননের পর আলোচনা ভেস্তে যায়। কারেন বিদ্রোহীদের উপর লাগাতার বিমান হামলা চালাচ্ছে বার্মিজ সেনা। ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মায়ানমারের রাশ নিজেদের হাতে নেয় সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্তাদের। তারপর থেকেই সে দেশে গণতন্ত্রের দাবিতে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। পালটা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এপর্যন্ত ফৌজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০জন গণতন্ত্রকামী। এদিকে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।বিশেষ করে গত শনিবারের পর থেকেই। ওই দিন শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যা করেছিল জান্তা। তারপর থেকেই মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..