1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

খাসিয়াদের মামলা খারিজ- অবশেষে ২৫ একর বনভূমিতে সামাজিক বনায়ন শুরু

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭৯ বার পঠিত

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা হিল ফরেষ্টের আওতাধীন বরমচাল বিটে ১০ হেক্টর বনভুমিতে বনায়নের চারা রোপনে খাসিয়াদের বাঁধা ও আদালতে দায়ের করা মামলা খারিজ হওয়ায় কয়েক লক্ষ টাকা লোকসানের পর অবশেষে ২৫ একর বনভূমিতে সামজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় বন বিভাগ।
গত শনিবার সকাল থেকে শতাধিক শ্রমিক সামাজিক বনায়নে চারা রোপন শুরু করেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তিন ভাগের দুইভাগ চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। উপকাভোগী সদস্যরা ২ মাস কাজ বন্ধ থাকার পর পুনরায় বনায়নে চারা রোপন করতে পারায় খুবই আনন্দিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, ভাটেরা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আওতাধীন বরমচাল বিটের কালিয়ারআগা এলাকায় পতিত ১০ হেক্টর বনভুমিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে ২০২১-২২ অর্থ সনে সামাজিক বনায়ন সৃষ্টির লক্ষ্যে গত নভেম্বর মাসে ২৫ হাজার চারা রোপন করা হয়। এবং গত কয়েক মাসে বনায়নের নির্ধারিত স্থানে চারা রোপনের লক্ষে জঙ্গল পরিষ্কারসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষে ২ মাস পূর্বে চারা রোপন শুরু করে বনবিভাগ। কিন্তু স্থানীয় খাসিয়া আদালতে বনায়নকৃত জায়গার মালিকানা দাবি করে রিট করলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। পরে বনবিভাগের পক্ষ আদালতে রিটের বিপক্ষে আপিল করলে আদালত খাসিয়াদের মামলা খারিজ করে বনবিভাগের পক্ষে রায় প্রদান করেন। ফলে বনবিভাগের সামাজিক বনায়নে আইনগত কোন বাঁধা না থাকায় শনিবার থেকে উপকারভোগী সদস্য ও বনবিভাগের লোকজন চারা রোপন শুরু করেন।
বনায়নের উপকারভোগীরা জানান, কালিয়ারআগা এলাকায় পতিত ২৫ একর বনভুমি কখনও খাসিয়াদের দখলে ছিল না। কোন ধরনের পান গাছ, লেবু গাছ ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা খয়রুল আমিন চৌধুরী টিপুর দখলে ছিলো জায়গাটি। তিনি জায়গাটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করলে সেখানে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নেয় বিভাগ। সামাজিক বনায়নের জন্য নির্ধারিত এই জায়গা থেকে খাসিয়াদের বসবাসস্থল অর্থাৎ ইছলাছড়া পানপুঞ্জির দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। অথচ খাসিয়ারা ইচ্ছাকৃতভাবে জবরদখলের উদ্দেশ্যে বনবিভাগের সামজিক বনায়নে বাঁধা প্রদান করেছিল।

বনায়ন বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় সরকারের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ২৫ হাজার চারার মধ্যে অর্ধেক চারা সময়মতো রোপন করতে না পারায় মরে নষ্ট হয়। তাছাড়া সামাজিক বনায়নে গাছ লাগানোর নির্ধারিত সময়ও অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এরপরেও আদালতের হস্তক্ষেপে অবশেষে বনায়ন করতে পারায় খুশি উপকারভোগীরা।
বনবিভাগের বরমচাল বিট অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার থেকে চারা রোপণ কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি দুইদিনের মধ্যে পুরো চারা রোপণের কাজ শেষ হবে। এতে খাসিয়ারা আর কোন বাঁধা দেয়নি।
কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ভাটেরা হিল ফরেষ্টের বরমচাল বিটের কালিয়ারআগা বনভুমিতে বনায়ন করতে গেলে খাসিয়ারা বাধা দেয় এবং বিজ্ঞ আদালতে স্বত্ব মামলা ( নং ১৮৫/২০২২) দায়ের করে। আদালত থেকে স্তিতাবস্থা থাকায় ২ মাস কাজ বন্ধ থাকে। বনবিভাগ মামলার জবাব ও আপত্তি দাখিল করে । গত ১০ আগষ্ট বিজ্ঞ আদালত উভয়ক্ষের শুনানী গ্রহণ করে খাসিয়াদের মামলাটি না মঞ্জুর করেন। যার ফলে ভাটেরা হিল ফরেষ্টের এই অংশে সামাজিক বনায়ন করতে আইনগত কোন বাধা নেই। স্থানীয় উৎসাহী ব্যক্তিবর্গ, ভূমিহীন, দরিদ্র জনগোষ্টীর মধ্য হতে কমপক্ষে ২৫ জন উপকারভোগী নিয়োগ করা হবে। তারা এ বাগান পাহারা, রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। মেয়াদ শেষে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা মোতাবেক তাদের অংশ পাবেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..