শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : চা-শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে প্রায় ৫ ঘণ্টার মতো ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরও কোনো সমঝোতা হয়নি। ফলে চলমান ধর্মঘটও প্রত্যাহার করেননি শ্রমিকরা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে চা-বাগান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর এ বৈঠক হয়। সন্ধ্যায় ৬টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত ১১টায়।
বৈঠক শেষে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী বলেন, আজও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যে শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন কি না। শ্রমিক নেতারা একদিন সময় চেয়েছেন। তারা শ্রীমঙ্গল চলে যাবেন। সেখানে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে আমাদেরকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানাবেন।
তিনি বলেন, আমরা যে আলোচনা করেছি তা অব্যাহত থাকবে। আলোচনা এখনো শেষ হয়নি। প্রয়োজনে আমরা আরেকটা মিটিং করব। সেই সিদ্ধান্ত আপাতত হয়েছে। একই সঙ্গে ২৩ আগস্ট যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা আছে তা বহাল আছে।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা রামভোজন কৈরি বলেন, মালিকপক্ষের যে প্রস্তাব আছে সেটা ৩০০ টাকার কম। আমরা বলছি, এটা আমরা মানতে পারব না। যার ফলে শ্রমিকদের এ আন্দোলন কর্মসূচি চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, আমাদের দাবি দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি। আজকে মালিকপক্ষ ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা মজুরি দিতে রাজি হয়েছে।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ১০দিন ধরে দেশের সব চা বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। এদিকে কর্মবিরতিতে প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার চা-পাতা নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাগানমালিকরা।