1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জে মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ১১১ বার পঠিত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমগঞ্জে ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সারাদেশের ১৬৭টি চা বাগানে ১০ম দিনের শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করেন। তাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে ইতিপূর্বে শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম দপ্তর ও ঢাকায় দু’দফা বৈঠক হয়েছে। এতে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়া হলেও চা শ্রমিকরা তা প্রত্যাখান করেন।

অবশেষে ৩য় দফায় চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম দপ্তরে চা শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার পক্ষের বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২৫ টাকা বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারিত হলেও তা মানছেন না শ্রমিকরা।

রবিবার চা বাগানে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও আন্দোলনের ১০ম দিনেও সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন শ্রমিকরা।

উপজেলার বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানে বাগানে জড়ো হয়ে শ্রমিকরা স্বতস্ফূর্তভাবে মিছিল ও পথসভা করছেন। সভায় বাঁচার মতো ৩০০ টাকা মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবি করছেন। আলীনগর চা বাগানে মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন গৌরী রানী কৈরী, বিউটি নায়েক, গণেশ পাত্রসহ চা শ্রমিকরা।

তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে তারা কিভাবে ১৪৫ টাকা মজুরি মেনে নিতে বললেন তা বোধগম্য নয়। সাধারণ একটি শ্রমিক পরিবার ১৪৫ টাকায় কি সংসার চালানো থেকে শুরু করে সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।

৩০০ টাকা মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে শ্রমিকরা জানান।

চা শ্রমিকরা গত ৯ আগষ্ট থেকে তাদের ন্যুনতম মজুরি দৈনিক ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে প্রথমে ২ ঘন্টা করে ও ১৩ আগষ্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে। এ নিয়ে শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম দপ্তরে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বৈঠকে ১৪৫ টাকার মজুরি নিয়ে একটি সমঝোতার কথা শোনা গেলেও পরে তা প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করেন শ্রমিকরা।

গৌরী রানী কৈরী ও বিউটি নায়েক বলেন, চা বাগানে একজন শ্রমিকের মজুরির ওপর কমপক্ষে ৫ জনের ভরণপোষণ নির্ভর করে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে ৩০০ টাকা মজুরি পেলেও সংসার চালানো সম্ভব নয়।

ন্যাশনাল টি কোম্পানীর পাত্রখোলা চা বাগান ব্যবস্থাপক শামসুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে চা শ্রমিক নেতারা সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও পরে প্রত্যাহার করেছেন।

 

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..