1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জের ২২টা চা বাগানে কর্মবিরতি, বিক্ষোভ চা শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে প্রশাসনের অনুরোধ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২
  • ২২০ বার পঠিত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ১১ তম দিনেও মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ২২টি চা বাগানে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ হয়েছে। কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের অদুরে চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন এক ঘন্টা অবরোধ করে ক্ষুব্দ চা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় থেকে প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে শ্রমিকরা ট্রেন অবরোধ করেন। পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে বিকাল সোয়া ৫ টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
শমশেরনগর ইউনিয়নের কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক নেতা ও মানিক চা মজদুর সম্পাদক সীতারাম বীন বলেন, ‘পড়নে নেই কাপড়, পেটে নেই ভাত। আমরা খাবো কি, চলবো কিভাবে? চা বাগানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন চা বাগানে গিয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বলেছেন শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজে যেতে।
কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগান শ্রমিক ও ইউনিয়ন নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চা শ্রমিকদের বর্তমান মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ১১ তম দিনেও মঙ্গলবার বিভিন্ন বাগানে চা শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। অভাব অনটন, ক্ষুধা ও কষ্টের মধ্যেও সন্তানাদিদের নিয়ে কোন ধরণের মজুরি ও রেশন না পেয়েও দীর্ঘ ১২ দিন ধরে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন শমশেরনগর চা বাগানের নারী শ্রমিক আশা অরনাল ও মনি গোয়ালা।
মঙ্গলবার সকালে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া, জেরিন ও কালীঘাট চা বাগানে গিয়ে চা শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে সাধারণ শ্রমিকদের অনুরোধ জানান মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। জেলা প্রশাসক চা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যতদ্রæত সমস্যা সমাধান করা যায় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখুন। রাষ্ট্রের পক্ষে ও সরকারের পক্ষে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। প্রাথমিকভাবে আপনারা ১৪৫ টাকা মেনেও নিয়েছিলেন। তবে শিল্প ধ্বংসের জন্য কোন ব্যক্তি স্বার্থের পিছনে যাবো বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি আরো বলেন, আমরা কাজ শুরু করবো, কাজ শুরুর পর এটি কত হবে সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর ছেড়ে দিয়েছি। এরকম একটি বিষয় ছিল। সে জায়গা থেকে কেউ উল্টাপাল্টা বোঝানোর কোন সুযোগ নেই। ১৯৫৬ সাল থেকে ৭০ বছর যাবত জাতির পিতার প্রতি ও ৫০ বছর যাবত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আপনাদের যে শ্রদ্ধা সেটি মাথায় রাখেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য ভালো ও প্রত্যাশিত মজুরি নির্ধারণ করবেন। জেলা প্রশাসকের এই বক্তব্যের পর ভাড়াউড়া ও জেরিন চা বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও কালীঘাট বাগানসহ কমলগঞ্জ উপজেলার কোন চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যায়নি।
তবে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি আদায়ের দাবিতে বিভিন্ন চা বাগানে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। কুলাউড়ার চাতলাপুর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সাধন বাউরী বলেন, সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আমরা কর্মসূচীতে ছিলাম। কোন নেতা বা কেউ আমাদের কিছু বলেননি। কমলগঞ্জের শমশেরনগর, আলীনগর, মৃর্ত্তিঙ্গাসহ বিভিন্ন চা বাগানে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। চা শ্রমিক নেতা দেওরাজ রবিদাস, চা শ্রমিক সন্তান রাজু রবিদাস ও অমৃত রবিদাসসহ শ্রমিকরা বলেন, আমাদের দাবি ৩০০ টাকা মজুরি হওয়ার পরেই কাজে ফিরবো। অথবা প্রধানমন্ত্রী টিভিতেও যদি বলেন তাহলেও আমরা মেনে নেব।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল ও অর্থ সম্পাদক পরেশ কালেঞ্জী বলেন, আমরা চা বাগান পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দের কাছে প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ পৌছে দিচ্ছি। চেষ্টা করছি তাদের বোঝানোর জন্য। মঙ্গলবার কাজ কোথাও হচ্ছে কোথাও হচ্ছে না বলে তারা দাবি করেন।
এদিকে মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের মনুÑধলই ভ্যালী সার্কেলের চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল টি কোম্পানীর ডিজিএম শামসুল ইসলাম জানান, শ্রীমঙ্গলের দু’একটি চা বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও অধিকাংশ চা বাগানে তারা কাজে যোগ দেননি। জেলা প্রশাসনের সাথে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের পক্ষ থেকেও চা শ্রমিকদের কাজে যেতে চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগষ্ট থেকে ১২ আগষ্ট পর্যন্ত দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা ৩০০ টাকা করার দাবিতে ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে গত ১৩ আগষ্ট থেকে শুরু হওয়া দেশের ১৬৭টি চা বাগানের প্রায় সোয়া লাখ শ্রমিকরা অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট শুরু করেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..